ভারতীয় সিনেমার অন্যতম আইকনিক ভিলেন অমরেশ পুরী। মোগ্যাম্বো খুশ হুয়া-র মতো ডায়লগ আজও ভুলতে পারেনি দর্শক। পর্দায় তাঁর রাশভারী ব্যক্তিত্ব বরাবরই চোখ টেনেছে দর্শকদের, তবে পর্দার বাইরে কেমন মানুষ ছিলেন তিনি? সেই ধারণাই খানিকটা মিলল তাঁর নাতির স্মৃতিচারণায়। অমরেশ পুরীর পৌত্র বর্ধন পুরী ঠাকুরদার এমন কিছু গল্প শুনিয়েছেন, যা জানলে আপনি চমকে যাবেন।
ঠাকুরদার পদচিহ্ন অনুসরণ করে রুপোলি জগতেই কেরিয়ার শুরু করেছেন বর্ধন, 'ইয়ে শ্যালি আশিকী' ছবির সঙ্গে শুরু হয়েছে তাঁর বলিউড সফর। অমরেশ পুরীর সহ-অভিনেতা সতীশ কৌশিক ও অনুপম খেরের কাছ থেকে দাদুর শ্যুটিং সেটের কীর্তিকলাপ শুনেছেন বর্ধন।
এক সাক্ষাত্কারে বর্ধন জানান, সতীশজি আমায় বলেছিলেন একটা মজার গল্প। এক ছবির শ্যুটিং চলাকলীন দাদুর এক সহ-অভিনেতা কিছুতেই নিজের সংলাপ বলতে পারছিল না। দাদুর সেইদিন মাত্র ১৫ মিনিটের সিন ছিল, এবং উনি পুরোপুরি রেডি ছিলেন। কিন্তু সেই অভিনেতা নিজের দৃশ্য কিছুতেই শেষ করতে পারছিলেন না। দাদু ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছিলেন।
এরপর দাদু একটা সময় খুব রেগে যান, এবং হতাশ হয়ে পড়েন কারণ সহকারী পরিচালকরাও দাদুর প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছিল না। যখন উনি সেট ছেড়ে রেগে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন সতীশ কৌশিকজি ওঁনাকে ধরে ফেলেন, এবং গোটা পরিস্থিতি বুঝিয়ে বলেন। উনি সঙ্গে সঙ্গে নিজের সহ অভিনেতার সমস্যা রয়েছে। দাদু কতটা সহমর্মী এবং সংবেদনশীল ছিলেন তা সতীশজি আমায় বলেছে'।
শ্যুটিং সেটে দুষ্টুমিও করতেন অমরেশ পুরী। বর্ধনের কথায়, 'আমি ভাবতা দাদু খব সিরিয়াস টাইপের মানুষ ছিলেন, সেটেও তেমনই থাকছেন। কিন্তু আমি জানতাম না যে প্যাক-আপের পর উনি পুরো প্র্যাঙ্কস্টার হয়ে যেতেন'।
দীর্ঘ ৩৮ বছরের ফিল্মি কেরিয়ারে প্রায় ৪৫০ ছবিতে অভিনয় করেছেন অমরেশ পুরী। মিস্টার ইন্ডিয়া'র মোগ্যাম্বো,কিংবা মেরি জংগ-এর ত্রিকাল, ত্রিদেব-এর ভুজঙ্গ অথবা করণ-অর্জুন ছবির ঠাকুর দুর্জন সিং-এর চরিত্রে খলনায়ক হিসাবে অমরেশ পুরীর অভিনয় ভারতীয় সিনেপ্রেমীরা আজও ভুলতে পারেনি। তবে পর্দার বাইরে মানুষটা একদম অন্যরকম ছিলেন তা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বর্ধন পুরী।