প্রায় ৬ বছর ধরে অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত অভিনেত্রী অনামিকা চক্রবর্তী। টেলিভিশন ধারাবাহিক এবং সিনেমাতে, ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন। টেলিভিশনে ভীষণই জনপ্রিয় মুখ অনামিকা চক্রবর্তী। স্টার জলসার সদ্য সমাপ্ত ধারাবাহিক ‘এখানে আকাশ নীল’-এর সুবাদে আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা অনামিকার। সিরিয়াল পুজোর আগে শেষ হলেও দর্শক মনে এখনও হিয়ার রেশ লেগে রয়েছে।
এর মাঝেই জি বাংলার জনপ্রিয় গেম শো দিদি নং ১-এ গিয়ে নিয়ে ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে পরিচয় করালেন অনামিকা। পর্দার পিছনের জীবন একেবার সহজ ছিল না তাঁর জন্য, নিজের মুখেই জানালেন তিনি।
নিজের গল্প বলতে গিয়ে অভিনেত্রী জানান, তিনি আসলে কোনওদিনই অভিনেত্রী হতে চাননি। সবটাই ঘটে যায় আচমকা। অভিনেত্রী কথায়, একদিন তাঁর মামা তাঁকে অডিশন চলছে জানিয়ে সটান সেখানে নিয়ে গিয়ে হাজির করেন। জোর করে নাকি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপর মেকআপ করিয়ে শ্যুটিং স্পটে ক্যামেরার সামনে দাঁড় করিয়ে দেন। সেই সময় অনামিকার হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছিল, এমনকী রীতিমতো কাঁপছিলেন তিনি। এরপরই ডায়লগ বলতে বলা হলে, তিনি কী করবেন বুঝতে পারছিলেন না। তবে তিনি কোনো মতে পরিস্থিতির সামাল দেন। সেটাই তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এরপরই অভিনয় জগতে পথ চলা শুরু অভিনেত্রী অনামিকার।
ধীরে ধীরে টেলিভিশন থেকে সিনেমা, দর্শকদের কাছে অনেক জনপ্রিয়তা এবং ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই মায়ের কাছে মানুষ তিনি। সময়কে বুঝে ওঠার আগেই মা-বাবার সেপারেশান হয়ে যায়। এরপরেই মামা বাড়িতে মানুষ তিনি। বাবার ভালোবাসা কী জানেন না! মাত্র কয়েকবার সামনা-সামনি দেখেছেন। পরিস্থিতি ছিক করার চেষ্টা করলেও তিনি অসফল। তবে বাবার বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ বা অভিমান নিজের মনে পুষে রাখেননি অনামিকা। মা পেশায় একজন বিউটিশিয়ান। মেয়েকে আগলে মানুষ করেছেন। তাই মায়ের কাছে সবচেয়ে বেশি আবদার অনামিকার। নিজেকে জেদি বলে পরিচয় দিয়েছেন তিনি। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ছিল মনে।
ছোটবেলা থেকেই নাচ শিখতেন। বড় হয়ে নৃত্যশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। মাঝে একবছর কর্পোরেটে চাকরির সূত্রে বেঙ্গালুরুতে ছিলেন। তবে আচমকাই অভিনয় জগতে পথ চলা শুরু। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। আপাতত বিনোদন জগতে চুটিয়ে কাজ করছেন অনামিকা। আসছে আবার সবর’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে। নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে চলেছেন অভিনেত্রী।