সলমন ও গোবিন্দা দুজনেই শ্যুটিং সেটে দেরি করে ঢুকতেন। দেরিতে ঢোকার বদনাম নাকি এই দুই তারকারই রয়েছে। তবে দেরিতে ঢুকলেও কাজ করতেন বেশ দ্রুত। সম্প্রতি, এই দুই তারকাকে নিয়েই মুখ খুলেছেন অভিনেতা আনন্দ বলরাজ। যিনি কিনা 'পরদেশ', 'খলনায়ক'-এর মতো ছবির দৌলতে অভিনেতা হিসাবে বেশ পরিচিতি তৈরি করেছেন। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে সলমন ও গোবিন্দার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন আনন্দ।
আনন্দের কথায়, ‘গোবিন্দা শ্যুটিং সেটে দেরি করে ঢুকতেন, ততক্ষণে আমি এক ঘুম দিয়ে নিতাম। গোবিন্দা ঢুকলেই দৌড় দিতাম মেকআপের জন্য। তবে গোবিন্দাই হোন কিংবা সলমন, তাঁরা ঢুকতেন বিকেল ৪-৫টায়, তবে দ্রুত কাজ শেষ করে বের হয়ে যেতেন। গোবিন্দা দারুণ নাচতেন, আর সে কারণেই তিনি অনেকের হার্টথ্রব। যখনই কেউ হার্টথ্রব হয়ে উঠবেন, তখনই এই ঘটনাগুলো ঘটবে।’
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে একাধিক ছবিতে গোবিন্দার নায়িকাও তাঁকে নিয়ে এই একই কথা বলেছিলেন। রবিনা বলেছিলেন, ‘আমি সেটে পৌঁছাতাম সকাল ৯টা, আর গোবিন্দা আসতেন ৫ ঘণ্টা দেরিতে, ২-৩০-৩টের দিকে। আমি মেকআপ করে, ড্রেস পরে ঘুমিয়ে নিতাম, ও ঢুকলে টাচ আপ করে তৈরি হয়ে যেতাম।’
সলমন প্রসঙ্গে আনন্দ বলরাজ বলেন, ‘সলমন যখন প্রেম রতন ধন পায়ো-এর শুটিং করছিলেন, আমিও সেটে ছিলাম, ওঁরা রাতে গিয়ে শ্যুটিং করতেন। সকালে যেসব দৃশ্যের শুটিং হওয়ার কথা ছিল, সেগুলোও রাতে শুটিং করা হয়েছে, বাড়ির ভেতরে। আর সলমন রাতে কাজ করতেই পছন্দ করেন। শুটিংয়ের পর, দুপুর ১:৩০ বা ২টার দিকে যখন আমরা জিজ্ঞেস করতাম, ‘আমরা তাহলে যেতে পারি, তখন তিনি বলতেন, ‘একটা ড্রিংস নিন। সলমন অনেক রাজ অবধি কলাকুশলীদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন।’
আনন্দ বলরাজ ফাঁস করেন, ‘এমন দিনও গিয়েছে যে সলমন সকালে শ্যুটিংয়ে এসেছেন, আর এসে তাঁর মনে হয়েছে, তাঁদের দেখতে ঠিক ভালো লাগছে না, সেদিন দু'ঘণ্টা পরই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। আবার পরের দিন এসেছেন। তবে কখনও তিনি কাজ বাকি রাখেননি। ইউসি, যিনি কিনা সলমনের বডি ডাবল, তিনি ওঁকে অনেক হেল্প করেছেন, তবে সলমনও কিন্তু পেশাদার।’ এর আগে অভিনেতা কুব্রা সাইতও জানিয়েছিলেন, 'রেডি' ছবির শ্য়ুটিংয়ের সময় সমস্ত কলাকুশলীদের তিনি সকাল থেকে অপেক্ষা করিয়ে রেখে সলমন নিজে এসেছিলেন পৌণে তিনটের সময়।