২০২৪ সালের শুরু থেকেই সাজো সাজো রব। কারণ আম্বানি পরিবারের ছোট ছেলে বসতে চলেছে বিয়ের পিঁড়িতে। ইতিমধ্যেই দুটো প্রি ওয়েডিং পার্টি হয়ে গিয়েছে। একটি গুজরাটের জামনগরে, অপরটি হল ইউরোপে। তবে এবার দেখতে দেখতে চলে এল বিয়ের দিন। চলতি বছরের ১২ জুলাই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্ট।
কার বাড়িতে গেলেন অনন্ত?
একটি ভিডিয়ো খুব ভাইরাল সোমবার রাত থেকে। যেখানে দেখা যাচ্ছে হবু বর-কনে পৌঁছচ্ছেন বলিউডের এক অভিনেতা দম্পতির বাড়িতে। নিজে উপস্থিত থেকে তাঁদের হাতে তুলে দিচ্ছেন বিয়ের কার্ড। নিশ্চয়ই ভাবছেন, কারা এঁরা, যাঁদের নিজে এসে আমন্ত্রণ জানালেন অনন্ত-রাধিকা?
আরও পড়ুন: কার্গিল যুদ্ধে ভারতীয় সেনার অংশ ছিলেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী এই বলি-অভিনেতা, বলুন তো কে?
এঁরা হলেন অজয় দেবগন ও কাজল। পাপারাজ্জি অ্য়াকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার হওয়া সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে অভিনেতা দম্পতির মুম্বইয়ের বাসভবন থেকে বেরিয়ে অনন্ত তাঁর কমলা রঙের বিলাসবহুল গাড়িতে বসে চলেছেন নিজের বাড়ির উদ্দেশে। তাঁর পিছনে নিরাপত্তারক্ষীদের একটি বড় দল।
আরও পড়ুন: নায়িকা যখন নেত্রী! লোকসভা সদস্য হিসাবে সাদা শাড়ি আর ব্লাউজে শপথ নিলেন কঙ্গনা
বিয়ের আমন্ত্রণ পত্র নিয়ে বারাণসীতে নীতা আম্বানি:
এখানেই শেষ নয়, সোমবার রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপার্সন তথা ধনকুবের মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানি বারাণসীর বিখ্যাত কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দিতে পৌঁছেছেন। তিনি অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের আমন্ত্রণপত্রও ইশ্বরের পায়ে রাখেন।
আরও পড়ুন: ‘রবীন্দ্র সংগীতের অপমৃত্যু’! চুল নাচিয়ে রক স্টাইলে ‘আমরা সবাই রাজা’ গাইলেন রূপম, বিতর্ক নেটপাড়ায়
যা নিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, ‘আজ আমি আমার অনন্ত ও রাধিকার বিয়ের নিমন্ত্রণ নিয়ে এসেছি। আমি তা ভগবানের চরণে নিবেদন করতে এসেছি।’
এমনকী মন্দির থেকে বেরিয়ে একটি চাটের দোকানেও যান তিনি। সেখানে তিনি চেখে দেখেন আলু চাট। এমনকী, তাঁকে বলতে শোনা যায়, মুকেশ সঙ্গে থাকলে খুব ভালো লাগত তাঁর এই চাটের স্বাদ নিতে পারলে। বারাণসীতে নীতা আম্বানির সঙ্গে ছিলেন ডিজাইনার মণীশ মালহোত্রা। তাঁরা সেখানকার বিখ্যাত গঙ্গা আরতিতেও ভাগ নেন।
অনন্ত-রাধিকার বিয়ের অনুষ্ঠান কবে?
১২ জুলাই মুম্বাইয়ের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সের জিও ওয়ার্ল্ড সেন্টারে গাঁটছড়া বাঁধবেন অনন্ত আম্বান ও রাধিকা মার্চেন্ট। মার্চেন্ট শিল্পপতি বীরেন মার্চেন্ট এবং শায়লা মার্চেন্টের মেয়ে। তিন দিন ধরে চলবে এই উৎসব।