ছোট থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন করিনা কাপুর ও সাইফ আলি খানের বড় ছেলে তৈমুর আলি খান। ছোট্ট টিমের দেখাশোনা করার সুবাদে নেট নাগরিকদের নজরে চলে আসেন তাঁর ন্যানিও। তৈমুরের ন্যানির মাস মাইনে থেকে তাঁর জীবন নিয়ে দর্শকদের মধ্যে কৌতুহলের অন্ত ছিল না। হালে ফের চর্চায় তৈমুরের প্রাক্তন ন্যানি ললিতা ডিসিলভা। আরও পড়ুন-'আমি যখন ২.৫ লক্ষ টাকা বেতনের কথা বলি, তখন করিনা বলেন…', পারিশ্রমিক নিয়ে মুখ খুললেন তৈমুরের ন্যানি
অনন্ত আম্বানির বিয়েতে তাঁকে দেখে অনেকেই চমকে গিয়েছিল। পরে জানা যায়, আসল তথ্য। মুকেশ ও নীতা আম্বানির ছোট ছেলেকে নিজের হাতে মানুষ করেছন ললিতা ডিসিলভা। বিয়েতে অংশ নেওয়ার পরে নবদম্পতির জন্য একটি মন ছোঁয়া পোস্ট ভাগ করে নিয়েছিলেন তিনি। আপতত রামচরণ কন্যার দেখভালের জিম্মা রয়েছে তাঁর উপর।
ললিতা ডিসিলভা সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন যে কীভাবে তিনি ১৯৯৬ সালে আম্বানিদের হয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। কেরিয়ারের গোড়ায় একটি হাসপাতালে নার্স হিসাবে কাজ করেছিলেন ললিতা। তিনি বলেন একটি স্থায়ী চাকরি খুঁজছিলেন যেখানে তিনি দিনের বেলা কাজ করতে পারেন এবং রাতে বাড়ি ফিরতে পারবেন।
হিন্দি রাশকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম সন্তান অনন্ত আম্বানি। মুকেশ স্যারের এক বন্ধু নিজের রেফারেন্স দিয়েছিলেন। আমি তার আত্মীয়ের বাড়িতে কাজ করছিলাম। আমি জানতাম না তারা (আম্বানি) কারা এবং আমি আকস্মিকভাবে সেখানে গিয়েছিলাম। আমি প্রথম থেকেই উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি।'
ডিসিলভা অনন্ত আম্বানির শৈশবের কিছু টুকরো ঘটনাও শেয়ার করে নেন। তিনি বলেন, ‘একদিন অনন্ত ঠাকুমাকে (কোকিলাবেন আম্বানি) বলেছিল যে সে তার পড়ার টেবিলে একটি মন্দির চায়। তাই তিনি তাকে একটি মন্দির এনে দিয়েছেন। তখন তার প্রয়োজন হয় একটি প্রদীপ ও ফুলের। তাই আমরা তাকে একটি প্রদীপ ও ফুল এনে দিয়েছি। এরপর পড়ার টেবিলে পুজো শুরু করেন। রোজ পুজো দিত অনন্ত। ছোট থেকে আধ্যাত্মিক ও, গোটা পরিবারটাই আধ্যাত্মিক’।
'অনন্ত কখনও উপহার চায়নি'
ডিসিলভা আরও আলোকপাত করেছিলেন যে কীভাবে অনন্ত আম্বানি শৈশব থেকেই পশুপ্রেমী ছিলেন এবং কীভাবে তিনি কখনই তাঁর জন্মদিনে কোনও দামী উপহার চাননি।
অনন্তকে কোলেপিঠে করে মানুষ করা ললিতা বলেন, 'সে কখনো উপহার চাইবে না। তিনি কখনো বস্তুবাদী উপহার চাননি। শুধু বলত, ‘আমাকে টাকা দাও, আমি একটি পশু কিনব। আমি প্রাণীদের বাঁচাব। প্রত্যেক জন্মদিনে, যখনই কেউ অনন্তকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে সে তার জন্মদিনে কী চায়, সে বলে, 'আমি কিছুই চাই না। আমাকে টাকা দাও'।
মুকেশ ও নীতা আম্বানির পরিবারের সমস্ত বিয়েতে আমন্ত্রিত হওয়ায় খুশি ললিতা। আম্বানির তিন ছেলেমেয়ে আকাশ, ইশা এবং অনন্ত যখনই তার সাথে দেখা করে তখনই ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয়। আকাশ ও ইশার বিয়েতে আমন্ত্রিত থাকলেও কাজ থেকে ছুটি না পাওয়ায় যেতে পারেননি। কিন্তু অনন্তের বিয়ে মিস করেননি তাঁর আরেক মা।
"আমি যদি লন্ডন, প্যারিস বা অন্য কোথাও থাকি এবং যদি তারা সেখানে থাকে তবে আমি একই উষ্ণ আলিঙ্গন পাই। সেদিক থেকেও একই ভালোবাসা।