ঋতুস্রাব আদতে একটি সুস্থ শারীরবৃত্তীয় ঘটনা। ঋতুস্রাব নারীকে পরিণত করে, তাঁর প্রজনন ক্ষমতার পরিচায়ক এই ঋতুস্রাব আজও সমাজের চোখে ট্যাবু। ঋতুমতী নারীটিকে বাদ দিলে বাকি সকলের চোখে এটা বেশ একটা ঘেন্নার ব্যাপার। তাই ঋতুস্রাব নিয়ে বয়ঃসন্ধির সময় অনেক মেয়েকেই নানান তিক্ত অভিজ্ঞতাপ মুখে পড়তে হয়। পুরুষালি ঠাট্টার খোরক যাতে আপনি না হয়ে যান, সেই জন্য মেয়েরা রীতিমতো সিঁটিয়ে থাকে এই সময়। স্কুলে, টিউশনে কিংবা রাস্তাঘাটে অনেক সময়ই পড়তে হয় বিভ্রান্তিতে। তেমনই এক অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছিলেন অনন্যা পাণ্ডে।
এক আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনের সাক্ষাৎকারে অনন্যা জানিয়েছেন, ‘তখন নবম শ্রেণিতে পড়ি। স্কুলের স্পোর্টস টিমের ক্যাপ্টেন ছিলাম আমি। একবার একটি মেডেল জিতেছিলাম। ভিক্ট্রি স্ট্যান্ডের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলাম বাকিদের সঙ্গে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলাম কখন আমার নাম ডাকা হবে। সেই সময় বন্ধুরাই আমাদের ইশারা করে বলল আমার সাদা স্কার্ট পুরোপুরি ঋতুস্রাবের রক্তের দাগে ভিজে গিয়েছে। ওয়াশরুমে দৌড়ে পালিয়েছিলাম। এরপর দীর্ঘক্ষণ সেখানেই লুকিয়ে ছিলাম। ওদিকে ভিক্ট্রি স্ট্যান্ডে আমার নাম ডাকা হচ্ছিল, বাথরুথ থেকেও সেই ডাক আমি শুনতে পাচ্ছিলাম। কিন্তু পিরিয়ডসে স্কার্ট ভিজে গিয়েছিল বলে সেই ট্রফি নিতে যেতে পারিনি। এই ঘটনাটি আমি আজও ভুলতে পারিনি আজও। খুব কষ্ট হয়েছিল। খুবই লজ্জা পাই যখনই মনে পড়ে’।
কসমোপলিটন ম্যাগাজিনকে দেওয়া এই সাক্ষাত্কারে অনন্যা আরও জানান, এই ধরনের ঘটনা অনেক কমবয়সী মেয়ের সঙ্গেই ঘটতে পারে। নাবালিকাদের মনে এই ধরণের ঘটনা গভীর প্রভাব ফেলে। তিনি মনে করেন, স্কুলেরই দায়িত্ব পিরিয়ডস নিয়ে মেয়েদের আরও সচেতন করে তোলা এবং এই ভীতিটা মন থেকে দূর করা।
স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার ২-এর সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন চাঙ্কি পাণ্ডে কন্যা। বলিউডের ইনসাইডার হওয়ার জেরে শুরু থেকেই বিতর্ক আর ট্রোল পিছু ছাড়ে না অনন্যার। ইতিমধ্যেই ‘পতি পত্নি অউর উও’, ‘খালি-পিলির’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করে। শীঘ্রই শকুন বাত্রার ছবির আসন্ন ছবিতে দেখা মিলবে অনন্যার, যেখানে অভিনেত্রীর কো-স্টার হিসাবে থাকছেন দীপিকা পাড়ুকোন ও সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী। এছড়াও দক্ষিণী হার্টথ্রব বিজয় দেবরকোন্ডার বলিউড ডেবিউ ‘লাইগার’ ছবির নায়িকা অনন্যা।