অনন্যা পাণ্ডে, বলিউডের এই নামটির সঙ্গে এখন কমবেশি সকলেই পরিচিত। বলি অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডে ও ভাবনা পাণ্ডের মেয়ে তিনি। চাঙ্কি পাণ্ডের স্ত্রী হওয়ার দৌলতে ভাবনা পাণ্ডেরও বলিউডে একটা আলাদা পরিচিতি রয়েছে। বর্তমানে অবশ্য অনন্যা পাণ্ডের মা হিসাবেও পরিচিত ভাবনা। নেটফ্লিক্সের রিয়ালিটি সিরিজ ‘ফ্যাবুলাস লাইভস ভার্সেস বলিউড ওয়াইভস’-এর শ্যুটিং করছেন ভাবনা পাণ্ডে। অন্যদিকে অনন্যা ব্যস্ত তাঁর প্রথম ওয়েব সিরিজ 'কল মি বে' নিয়ে। তবে এই মুহূর্তে অনন্যা তাঁর সিনেমা CTRL-এর প্রচারে ব্যস্ত।
সম্প্রতি CTRL-এর প্রচারেই অনন্যা পাণ্ডে কমেডিয়ান, অভিনেতা রৌনক রাজানির সঙ্গে কথোপকথনে অংশ নিয়েছিলেন। নেটফ্লিক্সের শেয়ার করা ইউটিউব ভিডিওতে অনন্যাকে বলতে শোনা যায়, ‘খারাপ নজর যাতে না লাগে আমি সেজন্য প্রতি সপ্তাহে বিশেষ কিছু কার্যকলাপ করি। আমি বাড়িতে থাকা মিরচি (অর্থাৎ লঙ্কা) পোড়াই, এটা কী জানেন তো? এটা পোড়ালে যত বেশি গন্ধ বের হয়, বুঝতে হবে তত বেশি আপনার নজর লেগেছে। যদিও এর পিছনে আদৌ কোনও বিজ্ঞান সম্মত কারণ আছে কিনা আমি জানি না।’
অন্যন্যা বলেন, তাঁর মাও কু-সংস্কার আচ্ছন্ন। অনন্যার কথায়, 'আমার মা ভাবনা পাণ্ডে লোকের খারাপ দৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে আমার কানের পিছনে 'কালো টিকা' লাগিয়ে দেন। এমনকি আমি এই অনুষ্ঠানে আসার আগেও মা ভাবনা আমার কানের পিছনে দুটো কালো বিন্দু লাগিয়েছেন। সবাই ভাবে হয়ত আমি স্নান করি না, বা আমার কানের পিছনে কিছু নোংরা লেগে আছে, কিন্তু আমার মা এটাই বারবার তা লাগাতে থাকেন।'
তবে অনন্যা তাঁর কু-সংস্কারে বিশ্বাস নিয়ে কথা বললেও CTRL-এর প্রচারে উপস্থিত অন্যান্যরা অবশ্য জানান, এসবে তাঁদের বিশ্বাস নেই।
আরও পড়ুন-পুজো উদ্বোধনে গিয়ে ছবি আঁকলেন মুখ্যমন্ত্রী, দর্শক সুদীপার ছেলে আদিদেব, কী বলছে নেটপাড়া?
বেশকিছুদিন আগে HT City Showstoppers-এ হাজির হয়ে অনন্যা পাণ্ডে। সেখানেও অনন্যা জানিয়েছিলেন, তাঁর জীবনের সঙ্গে তাঁর মা ভাবনা কতটা জড়িয়ে রয়েছেন। অনন্যার কথায়, সেই স্কুল জীবন থেকে তাঁর মা সমস্ত প্রজেক্ট করে দেওয়া থেকে কবিতা শেখানো, বক্তৃতা দেওয়া শেখানো, সবকিছুই শিখিয়েছেন। অনেকসময় তাঁর মা স্কুলের প্রজেক্ট করেও দিয়েছেন। অন্যন্যার কথায়, তাঁর জীবনের প্রতিটি ছোট ছোট জিনিসের সঙ্গে তাঁর মা জড়িয়ে রয়েছে। মা ছাড়া নিজেকে অসম্পূর্ণ বলে মনে হয় বলে জানাচ্ছেন অনন্যা।
অনন্যা পাণ্ডের কথায়, ‘মা আমার বিষয়ে ভীষণই কঠোর ছিলেন। আমি ওঁর প্রথম সন্তান। উনি আমার সমস্ত স্কুল প্রোজেক্ট করে দিয়েছেন। অতিরিক্ত আদর দিয়েছেন বলব না, বরং আমাকে সবকিছু সুন্দরভাবে শিখিয়ে দিয়েছেন। আসলে মাও মনে মনে একসময় অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলেন, এটা আমাকে পরিবারেরই কেউ বলেছিলেন। সেকারণে আমা আবৃত্তি করা থেকে শুরু করে বক্তৃতা দেওয়া সবই শিখিয়েছেন। মায়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। আমি যখন অভিনেত্রী হিসাবে কেরিয়ার শুরু করি, তখন সেটার সঙ্গেও মা জুড়ে ছিলেন। তবে এখন মা বুঝে গিয়েছেন, আমি সবটা সামলাতে শিখে গিয়েছি।’