গত শুক্রবার চেন্নাইয়ে কোভিড -১৯ সংক্রান্ত শারীরিক সমস্যার কারণে প্রয়াত হয়েছেন ভারতীয় সঙ্গীত আকাশের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র এস পি বালসুব্রহ্মণ্যম। সোমবারই কেন্দ্রের কাছে প্রয়াত প্রবাদপ্রতিম শিল্পীকে ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার ভারতরত্নে ভূষিত করার জন্য অনুরোধ জানালো অন্ধ্র প্রদেশ সরকার । এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাঠানো চিঠিতে শিল্পীকে মরণোত্তর এই সন্মান প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন মোহন রেড্ডি ।
নিজের চিঠিতে জগন জানিয়েছেন, মহান শিল্পীর জন্মস্থান হিসেবে সূচিত হওয়ায় রাজ্য হিসেবে আজ অন্ধ্রপ্রদেশ গর্বিত । তাঁর অকাল প্রয়াণ ভারতীয় সঙ্গীত জগতের নিরিখে এক অপূরণীয় ক্ষতি । তাঁর দীর্ঘ ৫০ বছরের সঙ্গীত জীবনে সারা পৃথিবীর সঙ্গীত অনুরাগী মানুষের পক্ষ থেকে তিনি যে পরিমাণ ভালোবাসা পেয়েছেন তা অপরিমেয় । আজ তাঁর প্রয়ানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভেসে আসা শোকসন্তপ্ত সমবেদনামূলক বার্তাতেই তা প্রতিফলিত হয় । প্রকৃত অর্থেই দেশ বিদেশের হাজার হাজার অনুরাগীকে শোকের পাথারে ফেলে চলে গিয়েছেন এস পি বি ।
তাঁর আজীবনের কৃতিত্ব বর্ণনা করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন - মাতৃভাষা তেলুগু, তামিল, কন্নড় , মালায়ালাম এবং হিন্দিতে চল্লিশ হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন বালসুব্রহ্মণ্যম । জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে সম্মানিত হয়েছেন ছয়বার । এছাড়াও অন্ধ্র প্রদেশের অন্যতম সম্মান নন্দী পুরষ্কার পেয়েছেন ২৫ বার । সর্বোপরি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ২০০১ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০১১ সালে পদ্মভূষণের মর্যাদায় সম্মানিত হয়েছিলেন তিনি ।
এদিন কেন্দ্রকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে জগন লেখেন , অতীতে লতা মঙ্গেশকর, ভূপেন হাজারিকা, এম এস সুবুলক্ষ্মী, বিসমিল্লাহ খান এবং ভীমসেন জোশির মতো সংগীতের শীর্ষস্থানীয়দের সরকার কর্তৃক ভারতরত্ন পুরষ্কার দেওয়া হয়েছিল।গত পাঁচ দশক ধরে ভারতীয় সংগীতের আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্রের ন্যায় বিরাজ করা প্রবাদ প্রতিম এস পি বিকেও এই তালিকায় যুক্ত করার অনুরোধ জানিয়েছেন অন্ধ্র প্রশাসনের শীর্ষ পদাধিকারী ।