বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > রোদ্দুর সাহসী, কিন্তু গালিগালাজ মানা যায় না: 'অ্যাংরি দিদি' ঊর্ণা

রোদ্দুর সাহসী, কিন্তু গালিগালাজ মানা যায় না: 'অ্যাংরি দিদি' ঊর্ণা

রোদ্দুর রায়কে নিয়ে কলম ধরলেন ঊর্ণা।

রোদ্দুর রায় ইউটিউবে সক্রিয়। কন্টেন্ট তৈরি করেন। তাঁকে এ ভাবে নাজেহাল হতে দেখে মোটেই ভালো লাগছে না।

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে আমি খ্যাতি পেয়েছি। যাঁরা আমার মতোই এই কাজটি করেন, তাঁদের প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা। বাকস্বাধীনতায় আমিও বিশ্বাস করি। কিন্তু শালীনতা আর অশালীনতার মধ্যে যে বিস্তর ফারাক, তা ভুলে চলবে কেমন করে?

রোদ্দুর রায় ইউটিউবে সক্রিয়। কন্টেন্ট তৈরি করেন। তাঁকে এ ভাবে নাজেহাল হতে দেখে মোটেই ভালো লাগছে না। আমরা একটি গণতান্ত্রিক দেশে বাস করছি। সেখানে আমাদের প্রত্যেকেরই স্বাধীন ভাবে নিজের মতামত প্রকাশের অধিকার আছে। কিন্তু বাকস্বাধীনতার দোহাই দিয়ে যদি শালীনতার সীমালঙ্ঘন করা হয়, সেটাও কি মেনে নেওয়া সম্ভব?

আমাদের সংবিধানে ফ্রিডম অব স্পিচের কথা আছে। সে বিষয়ে আমরা সকলেই ওয়াকিবহাল।

কিন্তু এই অধিকার চর্চার নামে কেউ যদি কোনও ব্যক্তির মানহানি করেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কথাও আছে।

উনি সরকারের বিরোধীতা করতেই পারেন। তাতে কারওরই কোনও আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করাটা খুব যুক্তিযুক্ত? ফেসবুক লাইভে কাউকে গালিগালাজ করা মানে তো মানহানি! আর সেটা করলে তো তার ফল ভোগ করতেই হবে। আইনের ঊর্ধ্বে তো কেউ নয়।

রোদ্দূর রায়ের বক্তব্য আমি নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। উনি কী বলবেন, তা সম্পূর্ণ ওঁর ব্যক্তিগত বিষয়। সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলার যে সাহস এই ভদ্রলোক দেখিয়েছেন, তার জন্য ওঁকে কুর্নিশ। কিন্তু নিজের ভাব প্রকাশ করতে গিয়ে কি ওই ধরণের ভাষা ব্যবহার করা যায়? কোথায় গিয়ে থামতে হবে, সেটা তো আমাদের বুঝতে হবে।

রোদ্দূর যা করেছেন, তা সকলে পারেন না। তাঁর সাহস সকলকে অনুপ্রাণিত করুক। কিন্তু ভাব প্রকাশের ধরন হোক মার্জিত।

 

 

বন্ধ করুন