বয়সের কোঠা ষাট পেরিয়ে গেলেও তা একটুও বোঝার উপায় নেই। এক মাথা ঝকঝকে কালো চুল, টানটান চামড়ার সঙ্গে মুখে দু'এক ভাঁজ বলিরেখা। ব্যাস,এতটুকুই।এখনও ঈর্ষণীয় অনিল কাপুরের ফিটনেস। পাশাপাশি তাঁর হুল্লোড়ে মেজাজের কথাও ইন্ডাস্ট্রিতে সর্বজনবিদিত। বলি-পার্টির আসর হোক কিংবা কোনও বলিউডের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মঞ্চ, গানের সুরে অনিলের পা মেলানোর ছন্দ দেখে বুঁদ হন না এমন দর্শক বিরল। তা এই বর্ষীয়ান বলি-তারকাকেই নিজের লুকসের জন্য পড়তে হল কুরুচিকর ট্রোলিংয়ের মুখে। যদিও তার পাল্টা জবাবও দিয়েছেন 'মিঃ ইন্ডিয়া'।
বয়সের কোঠা ষাট পেরিয়ে গেলেও তা একটুও বোঝার উপায় নেই। এক মাথা ঝকঝকে কালো চুল, টানটান চামড়ার সঙ্গে মুখে দু'এক ভাঁজ বলিরেখা। ব্যাস,এতটুকুই।এখনও ঈর্ষণীয় অনিল কাপুরের ফিটনেস। পাশাপাশি তাঁর হুল্লোড়ে মেজাজের কথাও ইন্ডাস্ট্রিতে সর্বজনবিদিত। বলি-পার্টির আসর হোক কিংবা কোনও বলিউডের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মঞ্চ, গানের সুরে অনিলের পা মেলানোর ছন্দ দেখে বুঁদ হন না এমন দর্শক বিরল। তা এই বর্ষীয়ান বলি-তারকাকেই নিজের লুকসের জন্য পড়তে হল কুরুচিকর ট্রোলিংয়ের মুখে। যদিও তার পাল্টা জবাবও দিয়েছেন 'মিঃ ইন্ডিয়া'।
|#+|
আরবাজ খানের টক শো 'পিঞ্চ' এর দ্বিতীয় সিজনে হাজির হয়েছিলেন অনিল কাপুর। এই শো-এ অতিথিদের সামনে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁদের নিয়ে হওয়া চর্চা কিংবা কটূক্তি সম্পর্কে সোজাসাপটা উত্তর জানতে চান আরবাজ। শো চলাকালীনই অনিলের উদ্দেশে নেটমাধ্যমে করা বেশ কিছু ফ্যানের বক্তব্য তুলে ধরেন আরবাজ। সেখানে দেখা যায় তারকার লুক নিয়ে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণভাবে ট্রোল করেছেন ওই ব্যক্তিরা। একজন লিখেছেন ষাটোর্ধ্ব হয়েও অনিলের এই ফ্রেশ লুকের রহস্য আর কিছুই নয়, তিনি নিজের সঙ্গে প্লাস্টিক সার্জন নিয়ে ঘোরেন। অর্থটা ভীষণ পরিষ্কার। নিজের চামড়া টানটান রাখার জন্য, বয়স লুকোনোর জন্য ছুরি কাঁচির সাহায্য নিয়েছেন বলি-তারকা। অন্য আরও এক ট্রোলার তো বলেই বসেন, 'আমার মনে হয় যৌবন ধরে রাখতে সাপের রক্ত পান করেন অনিল!'
প্রথমে অনিল ভেবেছিলেন আরবাজ মজা করছেন। শোয়ের তরফে নিশ্চয়ই টাকাপয়সা দিয়ে বলেন হয়েছে এইসব। কিন্তু আরবাজ স্পষ্ট ভাষায় জানান ব্যাপারটা একেবারেই তা নয়। এরপর জানতে পেরে প্রথমেই একচোট মন খুলে হেসে নেন অনিল। বিশেষ করে 'প্লাস্টিক সার্জন' এর করা কমেন্টে। এরপর মুখ খোলেন। শান্তভাবে, ধীর স্বরে জানান যে যেভাবে জীবন কাটানোর সুযোগ পেয়েছে তাতে তিনি অত্যন্ত ভাগ্যবান। মানুষ যেভাবে তাঁর জীবন কাটায়, সে ছাপ তাঁর চেহারায় পড়ে। অনিলের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। বক্তব্য শেষে অবশ্য তাঁর সংযোজন, 'একটা গোটা দিন মানে ২৪ ঘন্টা সময়। যদি তার মধ্যেও অন্তত ১ ঘন্টা কেউ তাঁর নিজের যত্ন নেওয়ার পিছনে সময় খরোচনা করে তবে এতটা সময় পেয়ে লাভ কী হল!' অর্থাৎ তিনি যে নিজের যত্ন আত্তির পিছনে সময় দেন, তা এই কথা থেকেই স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন 'মিঃ ইন্ডিয়া'।