সম্প্রতি স্কিন রাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া দ্বারা আয়োজিত ইন্ডিয়ান স্ক্রিন রাইডার্স কনফারেন্সের সপ্তমতম সংস্করণে বক্তৃতা দিতে গিয়ে গীতিকার রাজশেখর লেখকদের কৃতিত্ব রক্ষায় কিছু বক্তব্য তুলে ধরেছেন। কেন ১০০টি গান লেখার পরেও মাত্র ৭০টি গানের জন্য ক্রেডিট পেয়েছিলেন তিনি? বাকি ৩০টি গানের জন্য কেন সাধুবাদ জানানো হয়নি তাকে?
শেখর বলেন, আমি মনে করি আমরা যে ভুল করেছি, তা থেকেই ধীরে ধীরে শিক্ষা পাচ্ছি। ১০০টি গানের মধ্যে ৩০টি গান আমার কাছে জমা হয় না। তবে এটা শুধু আমার ক্ষেত্রে নয়, সকলের ক্ষেত্রেই হয়। সবাই হয়তো নিজেদের প্রাপ্য কৃতিত্বের কথা মুখ ফুটে বলতে পারি না। আমি শ্রোতাদের কাছে অনুরোধ জানাই একটি গান পছন্দ হলে সেই গানের গীতিকারের নাম খোঁজার চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন: বড় ঝড় কাটিয়ে ছোট ছেলে জেহের জন্মদিনের উদযাপনে মাতলেন সইফ-করিনা! জানেন কী থিম ছিল?
আরও পড়ুন: সদ্য আবিষ্কৃত নয়া প্রজাতির ব্যাঙের নামকরণ লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর নামে! কিন্তু কেন?
শেখর আরও বলেন, একজন গীতিকার যে আবেগ এবং কঠোর পরিশ্রম নিয়ে একটি গান লেখেন, তার যথাযথ সম্মান দেওয়া উচিত তাকে। চিত্রনাট্যকার এবং গীতিকারের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। অনেক সময় এমনও হয়, হোয়াটসঅ্যাপে আমি টিউনগুলি পেয়েছি, কিন্তু সেটা কোথা থেকে এসেছে তা জানি না।
গীতিকার বলেন, পরিচালক এবং লেখকদের মধ্যে বোঝাপড়া কম থাকার কারণেই এই ঘটনাগুলি ঘটে। আগে এমন ঘটনা ঘটত না। রাজ কাপুর এবং শৈলন্দ্রের মধ্যে যে বোঝাপড়া ছিল, তা আজকের পরিচালক এবং গীতিকারদের মধ্যে একেবারেই নেই।
প্রসঙ্গত, রাজ শেখর ২০১১ সালে ‘তনু ওয়েডস মনু’ সিনেমার হাত ধরে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। ২০২৫ সালের মধ্যে তিনি তুম্বাড, ভিরে দি ওয়েডিং, হিচকি, উরি সহ বহু সিনেমায় গান লিখেছেন।