রণবীর কাপুরের অ্যানিম্যাল ছবি এখন সুপার ডুপার হিট। টক্কর দিয়ে গিয়েছে শাহরুখ খানের পাঠানকেও। ছবি নিয়ে চর্চা চারদিকে। কেউ কেউ রণবীরের চরিত্র রণবিজয় সিং-এর ভায়োলেন্স নিয়ে চোখ কোঁচকালেও, দর্শকের লাইন কমছে না। ইতিমধ্যেই ৩ দিনে দেশে ২০০ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে অ্যানিম্যাল।
ছবিতে রণবীর কাপুরের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন যে অভিনেত্রী, তাঁকে নিয়েও বেশ চর্চা সোশ্যাল মিডিয়াতে। বিজয় সহ তিন সন্তানের মায়ের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই অভিনেত্রীর নাম চারু শঙ্কর। বাস্তবে কিন্তু এই অভিনেত্রী রণবীরের থেকে মাত্র এক বছরের বড়। যার সিনেমা এখনও দেখেননি তাঁদের বলে দেই, অ্যানিম্যাল সিনেমাটি বাবা ও ছেলের বিষাক্ত সম্পর্ক নিয়ে। ছেলে রণবীর আর বাবা অনিল কাপুর। মা চেষ্টা চালিয়ে যান দুজনের মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষা করে চলতে।
সিনেমায় চারুর স্ক্রিন টাইম সীমিত। তা সত্ত্বেও, অনিল এবং রণবীরের সঙ্গে বেশ ভালোভাবেই আকর্ষণ টেনেছেন চারুও। তা সে ‘খারাপ বাবা’ হিসেবে অনিলকে চোখে আঙুল দিয়ে প্রত্যক্ষ করানো হোক বা অনস্ক্রিন ছেলের আবেগের ওঠানামা সামলানো হোক, চারু আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করবেই।
আইএমডিবি প্রোফাইল অনুসারে, চারু শঙ্কর ১৭ আগস্ট ১৯৮১ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রণবীর কাপুরের জন্মের এক বছর আগে (২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৮২)। দর্শকরা ইতিমধ্যেই দুই তারকার মধ্যে বয়সের ব্যবধান নিয়ে কথা বলা শুরু করেছেন। চারু নিজেও প্রকাশ করেছেন যে, সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গাও মনে করেছিলেন যে তিনি সিনেমায় রণবীরের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য খুব কম বয়সী।
এক সাক্ষাৎকারে চারু জানান, ‘আমি গত বছরের শুরুর দিকে নির্মাতাদের থেকে সরাসরি একটি ফোন পাই। আর যখন আমি সন্দীপের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম, তখন তিনি খুব ভদ্র ভাবে কথা বলেন। প্রথমেই আমায় বলেন, ‘আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ’। তারপর আমাকে বলেন, কিন্তু আমি মনে করি আপনি ছবির জ্যোতি চরিত্রের জন্য অনেকটাই ছোট। সেই সময় আমি 'রকেট বয়েজ'-এর শুটিং করেছিলাম। তাই আমি তাকে আমার ফোনে ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে নিজের ছবি দেখিয়ে বলেছিলাম, 'আমার বয়স যাই হোক, আমি চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসি'। তিনি সেই ছবিগুলি দেখে বেশ অবাক হয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, 'ঠিক আছে, ঠিক আছে, এটি এমন কিছু যা আপনি অর্জন করতে পেরেছেন'। অনেক মাস পর ফোন পেলাম যে চরিত্রটা পেয়েছি। সন্দীপ পরে আমাকে বলেছিল যে, সে শত শত অভিনেতার অডিশন দিয়েছে অ্যানিম্যালের জন্য। কিন্তু সে কখনোই ভুলে যেবে না টেবিলের উলটো দিকে বসে থাকার সময় আমাকে দেখে ও আমার হাতে থাকা মোবাইলের ছবিগুলোর মধ্যে তফাত তাঁর কতটা চোখ টেনেছিল।’