কদিন আগেই একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তেঁতুলপাতা অভিনেত্রী অনিন্দিতা রায়চৌধুরী। সুদীপ সরকারর ঘরে ৩ মার্চ আসে ফুটফুটে এক রাজকন্যা। স্বাভাবিকভাবেই আপাতত সদ্যোজাত মেয়েকে নিয়ে সময় কাটছে অভিনেত্রী অনিন্দিতার। আর এবার মেয়েকে নিয়ে এক বিশেষ অনুভূতি ভাগ করে নিলেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে।
স্তন্যপান করাচ্ছেন এক মহিলা, আর মায়ের বুকের দুধ খেতে খেতে অপলকে মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে বাচ্চা, এমন একটি ছবি শেয়ার করলেন ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে। সঙ্গে আবার ক্যাপশনে লেখা, ‘এই তাকিয়ে থাকাটা আমি কোনোদিন ভুলতে পারব না’।
আরও পড়ুন: বাবা প্রসেনজিতের হাত ধরে সিনেমায় নামছেন মিশুক? বিপরীতে কে নায়িকা, পরিচালকই বা কে?

এখনও ১ মাসও বয়স হয়নি অনিন্দিতা-সুদীপের মেয়ের। কদিন আগে হাসপাতালে ডেলিভারি রুম যাওয়া, কন্যা সন্তানকে দেখে সুদীপের প্রতিক্রিয়া, বন্ধুদের উচ্ছ্বাস, সমস্ত কিছুর ভিডিয়ো শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘…বাবা রোজদিন ইমোশনাল হয়ে কাঁদে সেই শুরুর দিন থেকে, এক মুখ হাসি নিয়ে সব্বাই কে বলে আমাদের মেয়ে হয়েছে, মেয়ে। গোটা আট মাস ধরে বাবা মা কাকু কাকিমা দিদা দাদু মাসি পিসি মামা সবাই খালি বলে গেছে পরী আসবে, রাজা আসবে, রানী আসবে, রাজকুমার আসবে, কিন্তু যে যাই বলুক বাবার মেয়ে আর না এসে পারেনি, সবাই এত্ত অবাক হয়ে খালি কেঁদেছে, হাততালি দিয়েছে, খুব ভালোবেসেছে, ভালোবেসে যাচ্ছে, ভালোবেসে যাবে। আমাদের মেয়ে হয়েছে রে, মেয়ে।’
আরও পড়ুন: গায়ের ‘কালো রং’ নিয়ে কটাক্ষ, এক পরিচালক দেয় ‘প্যান্টি’ দেখানোর নোংরা প্রস্তাব! বলুন তো কে এই নায়িকা?
এখনও মেয়ের ছবি বা নাম ভাগ করে নেননি সুদীপ বা অনিন্দিতা কেউই। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি অবধি একটানা কাজ করেছেন বেবিবাম্প নিয়েই। আপাতত মাসখানেকের ব্রেক। তব খুব জলদিই কাজে ফেরার ইচ্ছে রয়েছে বল জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘প্রাক্তন’ রাজের সঙ্গে হঠাৎ ছবি শেয়ার পায়েলের, তারপর করে দিলেন ডিলিট! কী লিখলেন ইনস্টায়
২০২২ সালে প্রজাতন্ত্র দিবস অর্থাৎ ২৬ জানুয়ারি বিয়ে করেন অনিন্দিতা রায়চৌধুরি আর সুদীপ সরকার। মাত্র পাঁচ মাস প্রেম করার পর, ভরা লকডাউনেই সেরে ফেলেন বিয়েটা। একেবারে আইনি কাগজে সইসাবুদ করে চার হাত এক হয়। আর বিয়ের ৩ বছর পর টলিউড দম্পতির কোলে আসে তাঁদের প্রথম সন্তান। এছাড়াও তাঁদের সংসারে আছে বেশ কিছু পোষ্য সারমেয়।
এক সাক্ষাৎকারে সুদীপ জানিয়েছিলেন, চেনাশোনা ও বন্ধুত্ব ছিল তাঁদের অনেকদিনের। একটাসময় দু’জনেই দুটো সম্পর্ক ভেঙে টালমাটাল সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই বন্ধুত্বটা প্রেমে গড়িয়ে গেল। আর যখন বুঝলন, দু’জনে একে অন্যের সঙ্গে একেবারে মানানসই, বিয়ের সিদ্ধান্তটা নিতে আর দেরি করেননি।