চারিদিক থেকে কেবলই বিচ্ছেদের খবর আসছে। এ যেন এক অদ্ভুত ভাঙনকাল। এর মধ্যেই আরও এক তারকা দম্পতি তাঁদের বিবাহিত জীবনে ইতি টানলেন। তাঁরা হলেন চন্দ্রবিন্দুর অনিন্দ্য এবং তাঁর স্ত্রী মধুজা। এবার সেই বিষয়ে কী জানালেন গায়ক?
আরও পড়ুন: টলিউডের মিছিল সামিল হননি টোটা, তারপর কেন লিখলেন, 'চোখে জল এল...'
কী জানালেন চন্দ্রবিন্দুর গায়ক অনিন্দ্য?
বিচ্ছেদের বিষয়ে এই সময়কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে গায়ক জানান, 'এই বিষয়টা ভীষণই ব্যক্তিগত। তাই আলাদা করে কথা বলতে চাইছি না। মধুজা যা লিখেছে আমার কথাও সেটাই। নতুন করে আর কিছু বলতে চাই না।'
বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করে কী লেখেন, মধুজা?
এদিন ফেসবুকের পাতায় একটি লম্বা পোস্ট করেন মধুজা। সেখানে তিনি তাঁদের বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করে লেখেন, 'অনিন্দ্যর খুব ইচ্ছে ছিল ওর লেখা আর আমার ছবি দিয়ে জুজুর জন্য একটা ছোটোদের বই বের করবে। বিয়ের আগে থেকেই অনিন্দ্য আমার ছবি আঁকা পছন্দ করত। আমি লিখতেও খুব ভালোবাসতাম। চেয়েছিলাম লেখক বা শিল্পী হতে। কিন্তু ঘরে-বাইরে সমান তালে দীর্ঘ চোদ্দ বছর লড়ে দেখলাম ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। একা হয়ে যাচ্ছি। তাই নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিতে ২০১৯ সালে জুজুকে নিয়ে মুম্বই চলে এলাম। আমার সঙ্গে কোভিডও এল। কোভিড ভয় দিল, দুঃখ দিল, হতাশা, অপমান দিল কিন্তু ফিরিয়ে দিল ছবি আঁকা, লেখালেখি। ফিরিয়ে দিল নিজের কথা বলার সাহস। এক সময় বুঝতে পারলাম- বিয়ে মানে ফুল, আলো , যদিদং হৃদয়ং- কিন্তু সর্বোপরি এক আইনি বন্ধন। তাই আইনি পথেই বিচ্ছেদ কাম্য।' তিনি আরও লেখেন, ‘জানি অনিন্দ্য খুব কষ্ট পেয়েছে। আমিও পেয়েছি । আবার সত্যটা মেনে নিয়ে কোথাও একটা নির্ভরও হয়েছি। অনিন্দ্য আর আমি তাই আইনি পথে বিচ্ছেদে পা বাড়িয়েছি। আর কী আশ্চর্য- প্রায় ভাঙ্গার বেলায় আজ রোববারের-পাতায় ওর লেখা আর আমার আঁকা বের হলো। বিচ্ছেদ বিয়ের হয়েছে! জুজুর বাবা-মায়ের হয়নি। দাম্পত্যের হয়েছে- বন্ধুত্বের হয়তো না। তাই এক শিল্পী আজ অন্য শিল্পীকে জায়গা দিয়েছেন- আমি সম্মানিত!’
তাঁদের বিচ্ছেদের খবরে অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সুদীপা চট্টোপাধ্যায় বন্ধুর এই পোস্টে মন্তব্য করে লেখেন, 'দুজনকেই খুব ভালোবাসি। আর সেই ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা অটুট থাকবে। জুজু বাবুর জন্য অনেক আদর। তোমরা ভালো থেকো।'