অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে এখন অনিরুদ্ধ চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে ছবিতে। এখানে তিনি রানি মুখোপাধ্যায়ের বিপরীতে কাজ করেছেন। সম্প্রতি এই ছবির শ্যুটিং এবং তার অভিজ্ঞতার বিষয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা অনির্বাণ।
অভিনেতা ফ্রি প্রেস জার্নালকে দেওয়া একটা সাক্ষাৎকারে জানান, 'আমি কাস্টিং এজেন্সির তরফে একটি কল পাই। আকাশ নামক একটি ছেলে আমায় ফোন করেছিলেন এবং জানিয়েছিলেন অসীমা ছিব্বার আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। পরদিন তিনি জুমে আমার জন্য একটি মিটিংয়ের আয়োজন করেন এবং জানান তাঁরা আমাকে মিস্টার চ্যাটার্জির চরিত্রে নিতে চাইছেন। তখনই তিনি (পরিচালক) আমায় জানান যে স্বয়ং রানি মুখোপাধ্যায় আমার নাম সাজেস্ট করেছেন।'
এটাই অনির্বাণের প্রথম কাজ বলিউডে। অভিনেতা এই দুই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার সুবাদে কোনও পার্থক্য কি দেখলেন? উত্তরে তিনি বলেন, 'দুটো ইন্ডাস্ট্রিই বেশ পুরনো। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সব থেকে বড়। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই হিন্দি ছবি দেখেন। দক্ষিণী ছবি বলুন বা বাংলা ছবি এগুলো সব আঞ্চলিক ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। বাংলা বিনোদন জগৎ খুব একটা বড় নয়, আমরা এখানে ভীষণই সীমিত অর্থ নিয়ে কাজ করি। ৫-৬ কোটি বাজেটের একটি ছবি হলেই কলকাতায় সেটাকে বড় বাজেটের ছবি বলা হয়। হিন্দি, তামিল, তেলুগু ইন্ডাস্ট্রির তুলনায় আমাদের পরিকাঠামো খুবই ছোট। আমরা পুরনো মেশিন, জিনিস পত্র দিয়ে কাজ করি। কিন্তু আমাদের এখানে অভিনেতা থেকে লেখক সবই ফাটাফাটি। অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রির তুলনায় এখানে কনটেন্টের নিরিখে সমান মানের কাজ হয়।'
যে মানুষটা টান নাম সাজেস্ট করেছিলেন সেই রানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল তাঁর? উত্তরে অভিনেতা বলেন, 'দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল। মনে হচ্ছিল যেন স্বপ্ন সত্যি হল। এটা আমার ভাবনার বাইরে ছিল। আমি কখনই ভাবিনি এত বড় তারকার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাব। প্রাথমিক নার্ভাসনেস কাটিয়ে ওঠার পর আমি আমার সেরা পারফরমেন্স দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি আমার চরিত্রে যতটা পারি ফোকাস করেছি।'
এই ছবিটি ইতিমধ্যেই দর্শকদের থেকে ভালো সাড়া পেয়েছে। কিন্তু অনির্বাণের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল যখন তিনি ছবির ট্রেলার প্রথম দেখেন? উত্তরে অভিনেতা বলেন, 'আমি যেহেতু এখন নিজেই ছবি বানাতে শুরু করেছি সেহেতু আমি নিজের তরফে চেষ্টা করেছি যাতে এই ছবির ট্রেলার ভালো হয়। কিন্তু আমার মতে এটির ট্রেলার ফাটাফাটি নয়। একটা ট্রেলারের আলাদা চলন থাকে যেহেতু সেটা একটা ছবির প্রথম লুক বা ঘটনা আভাস দেয়। কিন্তু এখন যখন ছবিটি সমালোচক থেকে দর্শক সকলের থেকেই ভালো সাড়া পাচ্ছে তখন খুব ভালো লাগছে। এটা একটা লাইফটাইম অভিজ্ঞতা হয়ে রইল।'