টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক অনির্বাণ ভট্টাচার্য। বড়পর্দা হোক বা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, সর্বত্রই দাপটের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন মেদিনীপুরের এই ভূমিপুত্র। পাশাপাশি তাঁর সুমধুর কন্ঠে বুঁদ আপামর বাঙালি। হালে সারেগামাপা-র মঞ্চে ‘নয়ন সরসী কেন’ গেয়ে রীতিমতো ট্রেন্ডিং-এ অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে চর্চার শেষ নেই, অথচ এই ভার্চুয়াল জগত থেকে দূরে থাকতেই চান অনির্বাণ। কিন্তু পেশার চাপে তেমনটা হয়ে ওঠে না! ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ট্রোলিং পিছু ছাড়ে না অনির্বাণের। সম্প্রতি ডিভোর্স চর্চা নিয়ে সংবাদ শিরোনামে থেকেছেন অভিনেতা। যদিও সেই রটনা মিথ্যে, জানিয়েছেন স্ত্রী মধুরিমা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শোবিজ দুনিয়াকে ‘অন্তর্জাল’ জড়িয়ে নিয়েছে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বললেন অনির্বাণ। পেশাগত বাধ্যবাধ্যকতার জন্যই শোবিজ জগতের মানুষ হয়ে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ছেড়ে বেরোতে পারছে না তিনি।
অনির্বাণ ভট্টাচার্য টলি ফোকাস কলকাতাকে বললেন, ‘পেশাগতভাবে একজন ব্যাঙ্ককর্মীকে রিলস বানাতে হবে না, কিন্তু শোবিজে থাকলে সেটা চলবে না। সোশ্য়াল মিডিয়া আমাদের পেশার সাথে গেঁথে গেছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, 'এখন সবার ব্যাপারটা হল, জেনেশুনে বিষ করেছি পান। অস্থির হয়ে যাচ্ছি, জীবনে কোনও শান্তি নেই। ফোনটা ছেড়ে থাকতে পারছি না। তবে এমন গরল… (ছেড়ে) থাকা যাচ্ছে না'।
২০২৪-এর এই সুপারফাস্ট জীবনে সবাই ব্যস্ত জীবনের ইঁদুর দৌড়ে। সেখানে দাঁড়িয়ে কোথাউ কি ভালোবাসার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে? প্রশ্নের জবাবে অভিনেতা বলেন, 'জানি না ক্যামেরার সামনে এটা বলা ঠিক হবে কিনা তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার তো ভালোবাসার ক্ষমতা কমেছে। আমি যতখানি ভালোবাসতে পারতাম, সেটা কোনও নারী-পুরুষের ব্যাপার নয়….একটা সিনেমাকেও, একটা দৃশ্যকেও, একটা ভয়ঙ্কর গরমের পর বৃষ্টি হলে সেই মুহূর্তটার প্রতি যে ভালোবাসা, সেই ক্যাপাটিসিটা… (কমে গেছে)।
নিজেকের নিয়ে ট্রোল দেখতে কতটা অভ্যস্ত অনির্বাণ? সবচেয়ে বেশি ইউটিউব ভিডিয়ো দেখার নেশা রয়েছে অনির্বাণের। অভিনেতা বললেন, ‘জানি আমাকে নিয়ে অনেক ট্রোলিং হয়, যা দেখেছি কোনওটা দেখেই মজা লাগেনি। একটা পাঠ করলাম, একশো জন বলছে কাজটা ভালো নয়। সেটা কিন্তু ট্রোলিং নয়, সমালোচনা। আমি ইউটিউবে একটা কমেন্ট পড়েছি, আমার একটা পডকাস্টে। নীচে একজন লিখেছেন, ‘এত লম্বা চওড়া কথা কীসের, আগে চুপচাপ কাজ কর কয়েক বছর’। তবে অনির্বাণের বিশ্বাস, 'এই ট্রোলিংয়ের বাইরে একটা বৃহত্তর দর্শক সমাজ আছে যাদের ভালোবাসায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি'।
কটাক্ষ, খিল্লি কিংবা আক্রমণ যতই আসুক কারুর কমেন্ট পড়ে নিজেকে বদলাতে রাজি নন অনিবার্ণ। কারণ নিজের কাজের সবচেয়ে বড় সমালোচক তিনি নিজেই, ভুল হলে শুধরে নিতে জানেন। আগামিতে অথৈ ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে। আজকের প্রেক্ষাপটে শেক্সপিয়ারের ওথেলো-র ভারতীয় সংস্করণ পরিচালক অর্ণ মুখোপাধ্যায়ের এই ছবি।