কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় আগেই পাঠান মুক্তি শর্ত নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাঁর ছবি কাবেরী অন্তর্ধান গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে। ছবিটা বক্স অফিসে ভালোই সাড়া পাচ্ছিল। তার এক সপ্তাহর মধ্যেই পাঠানের আগমন। আর এতেই সব ঘেঁটে গেছে। অধিকাংশ হল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এই ছবি। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পর এবার পাঠান মুক্তি শর্ত নিয়ে সরব হলেন অঞ্জন দত্ত। কী এই শর্ত?
মুম্বইয়ের ডিস্ট্রিবিউটররা বলেছেন যদি হলে পাঠান চালাতে হয় তবে সব শোয়ের জন্যই এই ছবিকে নিতে হবে। অন্য কোনও ছবিকে জায়গা দেওয়া যাবে না। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় আগেই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে পোস্ট করেছিলেন। এবার গোটা ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক’ অ্যাখ্যা দিলেন অঞ্জন দত্ত।
রঞ্জনা আমি আর আসব না-র গায়ক তথা এই বর্ষীয়ান অভিনেতা-সঙ্গীতশিল্পী এই প্রসঙ্গে বলেন, 'আমি প্রযোজক পরিচালকদের হয়ে কথাটা বলছি। আমি সেই সমস্ত সহকর্মীদের সাপোর্ট করছি যাঁরা আমার মতোই বাংলা ছবি তৈরি করেন। যাঁদের বাংলা ছবি দেখতে ইচ্ছে করে, যদি সত্যি দেখতে চান তাহলে দয়া করে একটু কষ্ট করে যে যে হলে যে সময়ে ছবিগুলো চলছে একটু গিয়ে দেখে নেবেন। এক সপ্তাহ একটু কষ্ট করুন, হয়তো এরপর দু একটা ভালো ছবি আবার নিজের জায়গা খুঁজে পাবে। মাত্র একটা সপ্তাহ।'
তবে এই ছবিটা যে কেবল বাংলার সেটা কিন্তু নয়। মহারাষ্ট্রের অবস্থাও এক। মহারাষ্ট্রের নবনির্মান সেনার নেতা অময় খোপকর জানিয়েছেন যে এই রাজ্যের হল মালিকরা পাঠান ছবিটির জন্য নাকি মারাঠি ছবি নিতে চাইছেন না হলে।
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই পাঠান ছবিটি প্রথমদিন বক্স অফিসে ৫৭ কোটি এবং দ্বিতীয় দিন হিন্দি ভাষায় ৭০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে। ফলে মাত্র দুদিনেই এই ছবি দেশে ১২৭ কোটির কাছাকাছি আয় করে ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে যদিও এখনও নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি।