অভিনয়, গান থেকে সিনেমার পরিচালনা, সবক্ষেত্রেই অঞ্জন দত্ত অন্যতম চর্চিত একটি নাম। তাঁকে নিয়ে অনুরাগীরদের উৎসাহের অন্তহীন। সম্প্রতি নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ, অপছন্দ, জীবন, সিনেমা সহ নানান বিষয় নিয়েই ফিভার এফএম-এর আরজে জিনিয়া এবং অভিনেতা সুপ্রভাত দাসের সঙ্গে আড্ডা দিলেন অঞ্জন দত্ত।
র্যাপিড ফায়ার রাউন্ডের মুখোমুখি হয়ে নানান প্রশ্নের জবাব দেন অঞ্জন দত্ত। জানান, আমি কঙ্কনার সঙ্গে কাজ করতে পছন্দ করব (কঙ্কনা সেনশর্মা, তবে সেটা ও বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার আগে) রহস্য নাকি রোম্যান্টিক ছবি কীধরনের ছবি পরিচালনা করতে পছন্দ করেন? এর উত্তর আসে, রহস্য। তবে অ্যাক্টিংয়ের জন্য রোম্যান্টিক ছবিকেই বেছে নেন তিনি। দার্জিলিং ছাড়া কোন জায়গা পছন্দ? উত্তর আসে কেরলা। আর জে জিনিয়ার প্রশ্ন প্রসঙ্গেই সুপ্রভাত দাস জিগ্গেস করেন, তিনি যদি না আসতেন তাঁর জীবনে সুব্রত শর্মার চরিত্র কাকে বেছে নিতেন। অঞ্জন দত্ত জানান, হতই না, আমি সেরকম কাউকে পাইনি। প্রসঙ্গত অঞ্জন দত্তের পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ড্যানি ডিটেকটিভ আইএনসি-তে গোয়েন্দা সুব্রত শর্মার ভূমিকায় পরিচিতি পেয়েছেন সুপ্রভাত দাস। তবে প্রসঙ্গক্রমে 'অপুদা ও ঋত্বিকদা' (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ও ঋত্বিক চক্রবর্তী)র কথা মনে করিয়ে দেন সুপ্রভাত। তখন অঞ্জন দত্ত মেনে নেন, 'ঋত্বিক তোমার বয়সী হলে ওকে নিতাম।'
ভূত হয়ে এলে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কার ঘাড় মটকাতে চান? আর জে জিনিয়ার এই প্রশ্ন সোজাসাপ্টা অঞ্জন দত্ত জানান 'ডিস্ট্রিবিউটার্স'। অঞ্জন দত্তের এদিন অকপট স্বীকারোক্তি ছোট থেকেই প্রচুর মেয়ের প্রেমে পড়েছেন। বিয়ের পরও অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্বের থেকে একটু বেশি এগিয়েই সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তাঁর কথায়, তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না, যে বিয়ের পর প্রেম থেমে যায়। আর এটাকে আমি পরকীয়া হিসাবেও দেখি না। একটা সময় গিয়ে আমার স্ত্রী বন্ধু হয়ে যায়। তার বাইরে গিয়ে যদি কাউকে ভালো লাগে, আকর্ষণীয় লাগে, কথা বলতে ইচ্ছা করে, আমি সেটা করেছি। আমার কাছে বিয়েটাই শেষ শব্দ নয়।' কথা প্রসঙ্গে তিনি এটাও মেনে নেন যে তিনি প্রচুর ল্যাং খেয়েছেন। তাতে প্রথমে মন খারাপ হয়েছে, তারপর গান লিখে ভুলে গিয়েছি।
কোন কমেন্ট অঞ্জন দত্তকে বিরক্ত করে দেয়? উত্তরে তিনি জানান, ‘অঞ্জন দত্ত মানে সানগ্লাস, অঞ্জন দত্ত মানে মদ, অঞ্জন দত্ত মানে সিগারেট, অঞ্জন দত্ত মানে দার্জিলিং, অঞ্জন দত্ত মানে পার্কস্ট্রিট এই কথাগুলোতে এখন একটু বিরক্তই হই।'