ভারতের মতো দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখনও মানুষ বর্ণ বৈষম্যে এবং জাতি বৈষম্যের শিকার। সদ্য অলিম্পিকে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে মণিপুরের ইম্ফলের মীরাবাঈ চানু। টোকিও অলিম্পিক (Olympic Games Tokyo 2020)-এ ভারত্তোলনে রুপো জিতে দেশে ফিরেছেন তিনি। মীরাবাঈয়ের জয়ের পরই জাতি বৈষম্য নিয়ে মুখ খুললেন মডেল তথা অভিনেতা মিলিন্দ সোমনের স্ত্রী অঙ্কিতা কোনার।
টুইট করে অঙ্কিতা লেখেন, ‘তোমার জন্ম, বেড়ে ওঠা যদি উত্তর-পূর্ব ভারতে হয়, তাহলে দেশের জন্য পদক জিতলে একমাত্র তখনই আপনি ভারতীয় হিসেবে মর্যাদা পাবেন। নয়তো তোমাকে 'চিঙ্কি’, ‘নেপালি’, ‘চাইনিজ’, আর নবতম ‘করোনা’ নামে ডাকা হবে। ভারত কেবল জাতিবৈষম্য নয়, বর্ণবৈষম্যেরও শিকার। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি #হিপোক্রিটস’।
অঙ্কিতার এই পোস্টের পরে অনেকেই তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করেছে। অনেকেই এটাকে বেদনার ও দুঃখজনক বলেছে। অঙ্কিতা মনে করেন, শুধু জাতিভেদ নয়, ভারতে ভয়ঙ্কর ভাবে বর্ণ বিদ্বেষও রয়েছে। অলিম্পিকে পদক জেতার পর মীরাবাঈ নিয়ে দেশে হৈচৈ পড়ে গিয়েছে। সেখানেই আপত্তি প্রকাশ অঙ্কিতার। নিজেও উত্তর-পূর্ব ভারতের মেয়ে তিনি। তাই নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মিলিন্দ পত্নী।
অন্যদিকে, এক ব্যক্তি অঙ্কিতার পোস্টে এসে তাঁকে মিসেস সোমন বলে টুইট করতেই ক্ষেপে ওঠেন অঙ্কিতা। তাঁর স্পষ্ট মন্তব্য, ‘খুব নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি........ কমপক্ষে মিসেস মিলিন্দ প্রত্যাশিত নয়’। অঙ্কিতা জবাবে বলেন, ‘আমি অঙ্কিতা কোনার’।
২০১৮ সালে ২২ এপ্রিল আলিবাগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অভিনেতা-মডেল মিলিন্দ সোমন এবং অঙ্কিতা কোনার। তাঁদের প্রাইভেট বিবাহ আসরে শুধুমাত্র উপস্থিত ছিলেন দুজনের পরিবার এবং ঘনিষ্ঠরা। সেই বছরই জুলাই মাসে স্পেনে আলাদা করে বিয়ে সারেন এই দম্পতি।