'অঙ্কিতা লোখান্ডের মতো করে সুশান্তকে কেউ ভালোবাসেনি',সুশান্তের মৃত্যুর পর একথা বলতে শোনা গেছে সুশান্তের বন্ধু সন্দীপ সিংকে। এমনকি তিনি নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে একথাও জানিয়েছিলেন ব্রেক আপের চার বছর পরেও নিজের বাড়ির নেম-প্লেট থেকে সুশান্তের নাম সরাননি অঙ্কিতা। অঙ্কিতার জীবনেও নতুন মানুষ এসেছে ঠিকই,তবে সুশান্তের স্মৃতি তিনি কোনওদিনই মুছে ফেলেননি। এবার ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে অঙ্কিতার একটি পুরোনো ছবি। যেখানে একফ্রেমে পাওয়া গিয়েছে অঙ্কিতা ও তাঁর মা'কে। যদিও সকলের নজর কাড়ছে সেই ছবি ব্যাকগ্রাউন্ড। যেখানে অঙ্কিতার বাড়ির দেওয়াল জুড়ে রয়েছে শুধুই সুশান্তের ছবি। এমনকি সামনের টেবিলেও রাখা রয়েছে সুশান্ত-অঙ্কিতার একটি ফটোগ্রাফ। দেওয়ালে সাজানো ছবিগুলিতে সুশান্ত-অঙ্কিতার মিষ্টি সব মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করা রয়েছে।
পবিত্র রিসতার সেটেই প্রথম পরিচয় সুশান্ত-অঙ্কিতার,সেখান থেকে বন্ধুত্ব,প্রেম এবং একসঙ্গে থাকা। বিয়ের স্বপ্নও সাজিয়েছিলেন দুজনে। ২০১৬-র ডিসেম্বরেই বিয়ের কথা ছিল এই জুটির। তবে সেই বছরের শুরুতেই ভেঙে যায় এই পবিত্র রিসতা। কেন ভেঙেছিল সেই সম্পর্ক? আজও উত্তর মেলেনি। কৃতী শ্যাননের সঙ্গে সুশান্তের ঘনিষ্ঠতা এবং বলিউডের সফল কেরিয়ারই নাকি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল দুজনের পবিত্র রিসতায়। সম্পর্ক ভাঙার পর দুজনের মধ্যে যোগাযোগ ছিল না। তবুও সুশান্তের জন্য প্রার্থনা করা বন্ধ করেননি অঙ্কিতা। সুশান্তের ছবি মুক্তি পেলে নাকি মানত রাখতেন তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা। সন্দীপ স্পটবয়ই'কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেন, 'অঙ্কিতা সুশান্তের গোটা পরিবার ছিল-মা,দিদি,বন্ধু, স্ত্রী সব ভূমিকা ও পালন করেছে। আমি ওর মতো মেয়ে দেখেনি। সুশান্তের মুখে হাসি ফোটাতে ও সবকিছু করতে পারত। সুশান্তের পছন্দ মতো সাজত, সুশান্ত যা খেতে ভালোবাসত সেটাই রান্না করত। ঘরের সাজানো হবে সুশান্তের ইচ্ছা মতো, ঘরে যা বই থাকবে সেগুলো হবে সুশান্তের পছন্দের-ওর গোটা দুনিয়াটা ছিল সুশান্ত। কেউ সৌভাগ্যবান হলে এমন একটা মেয়ে পায়'।
সুশান্তের বাবাও বলেছেন অঙ্কিতা ছাড়া ছেলের জীবনে অন্য কোনও মেয়ের উপস্থিতি সম্পর্কে তিনি জানতেন না। সুশান্তের মৃত্যুর পর ১৬ জুন অভিনেতার মুম্বইয়ের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন শোকস্তব্ধ অঙ্কিতা। তাঁর পরিচিতমহল সূত্রে খবর, সুশান্তের মৃত্যুর খবর পেয়েই পুরোপুরি ভেঙে পড়েছেন অঙ্কিতা লোখান্ডে। তাঁর চোখের জল শুকোচ্ছে না। সন্দীপ সিংও জানান, 'ওরা যে একে অপরের জন্য কী ছিল সেটা ভাষায় বলে বোঝানো সম্ভব নয় আমার পক্ষে. আর ওর বর্তমান অবস্থাটাও। এখনও কেঁদেই চলেছে'।