সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে ব্রেকআপের পরেও স্মৃতি মুছতে নারাজ ছিলেন অঙ্কিতা। ২০১৬ সালে তাঁদের বিচ্ছেদের পর বাড়ির দেওয়ালে সুশান্তের ছবি টাঙিয়ে রেখেছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, তিনি পরিস্থিতির থেকে পালাতে চাননি কখনোই।
ছবিগুলো তাঁর বাড়ির দেওয়ালে ততদিন টাঙানো ছিল যতদিন তিনি পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি। এমনকি তাঁর জীবনে অন্য কেউ আসেননি। পরে ভিকি জৈনের সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে আবদ্ধ হন অঙ্কিতা লোখান্ডে। যদিও তাঁদের পরিচয় বহুদিনের। সুশান্ত-অঙ্কিতার বন্ধুমহলের অংশ ভিকি।
অঙ্কিতা জানিয়েছিলেন, সুশান্তের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তাঁর বাড়িতে যাঁরা আসত সকলেই দেওয়াল থেকে ছবিগুলো খুলে রাখার পরামর্শ দিতেন। তাঁর কথায়, ‘আমাকে সময় দাও। আমি তো যে সে নই... আমি ৭ বছর ওঁর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম। আমি ওই ছবিগুলোর সঙ্গে আমার জীবন কাটিয়েছি’।
অঙ্কিতা বলেছিলেন, ছবিগুলো ছেড়ে দেওয়ার পিছনে তার যুক্তি হল নিজেকে শক্তিশালী করা। যাতে তাঁদের কখনো দেখা হলে সুশান্তের মুখোমুখি হতে পারেন তিনি। অঙ্কিতার কথায়, ‘আমি এমন কোনও মানুষ নই যে পরিস্থিতির থেকে পালিয়ে যাব। আমি উঠে দাঁড়িয়ে সেই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করেছি প্রত্যেকদিন। সুশান্ত কখনো আমার সামনে আসলে আমি ওর মুখোমুখি হতে পারব শক্ত হয়ে। এটাই আমার চিন্তাভাবনা ছিল’।
শেষ পর্যন্ত অঙ্কিতাও সুশান্তের ছবি দেওয়াল থেকে নামিয়ে দেওয়ার ধারণায় সম্মত হন। তাঁর কথায়, ‘আমি প্রতিদিন সম্মুখীন হচ্ছিলাম। একদিন এমন আসল আমর মনে হয়, আমি পরিস্থির থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি। এখন আমি ছবিগুলো সরিয়ে দিতে পারি। এবং আমি সরিয়ে দিয়েছিলাম। একটা জায়গা খালি হবে, তবেই না দ্বিতীয় ছবি আসবে। আমার সঙ্গে ভিকির পরিচয় হয় এবং ওই আমার জীবনসঙ্গী হয়ে ওঠে। আমি ওর সঙ্গে খুব খুব খুব সুখে আছি’।
জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পবিত্র রিসতা’ থেকে শুরু হয়েছিল সুশান্ত-অঙ্কিতার রিয়াল লাইফের প্রেমপর্ব। দীর্ঘ ছয় বছরের সম্পর্ক ছিল তাঁদের, তারপর বিচ্ছেদ ঘটে। গত বছর ১৪ জুন মৃত্যু হয় বলিউডের অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের। অভিনেতার রহস্যমৃত্যু মামলায় তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায্যবিচারের দাবি জানিয়ে সরব হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখান্ডেও।