টলি তারকাদের মুড়ি-মুড়কির মতো রাজনীতিতে যোগদান করা নিয়ে সময়ে-সময়ে শ্লেষাত্মক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে অঙ্কুশ হাজরাকে। শ্রাবন্তীর বিজেপিতে যোগদানের কয়েকঘন্টা পরই অঙ্কুশ লিখেছিলেন, ‘আমার দ্বারা হাউজ পাওরি ছাড়া আর কিছুই হবে না’। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় ঘোষণার পর. তারকা প্রার্থীরা কে কোথা থেকে নির্বাচন লড়ছেন সেই লিস্ট রি-টুইট করে লেখেন, ‘অঙ্কুশ হাজরা, উটালিকা অ্যাপার্টমেন্ট’। মুকুন্দপুরের এই আবাসন আসলে অঙ্কুশের ঠিকানা। রবিবার ফের একটি টুইট করলেন অঙ্কুশ। সেখানেও শ্লেষের আভাস স্পষ্ট।
রবিবার একুশের নির্বাচনের হাইভোল্টেজ প্রচার হল বঙ্গে। কলকাতায় ব্রিগেজ ময়দানে মোদীর জনসভা, আর শিলিগুড়িতে মমতার প্রতিবাদ মিছিল। মোদী বক্তব্য শুরু করবার বেশকিছু সময় পরেই মঞ্চে উঠে বক্তৃতা শুরু করেন মমতাও। একদিকে প্রধানমন্ত্রী, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী- টেলিভিশন চ্যালেনগুলি দুটো উইন্ডো-তে একইসঙ্গে দুজনের বক্তব্যের লাইভ ছবি তুলে ধরছিল ঠিকই, কিন্তু অডিও একটি ভাষণেরই শোনা যাচ্ছিল। আর এই নিয়েই মহা বিড়ম্বনায় অঙ্কুশ। টুইট বার্তায় তিনি লিখলেন, 'সব নিউজ চ্যানেলেতে দুদিকের ভাষণই দেখতে পাচ্ছি…একটা কলকাতায়, আরকেটা শিলিগুড়িতে। কিন্তু একদিকেরই অডিও আছে, আরেকটা দিক পুরো মিউট, শুধু ভিডিয়ো চলছে। না, আমি কোনও পলিটিক্যাল পার্টির প্রতি পক্ষপাতপূর্ণ নই, কিন্তু একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে আমি দুদিকটাই শুনতে চাই… এইটুকুই বলার।
এর জেরে কেউ কেউ অঙ্কুশকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। কিন্তু ছেড়ে দেওযার পাত্র নন ‘ম্যাজিক তারকা’। একজন নেটনাগরিক লেখেন, ‘শুধু ডানদিকের ভাষণ শোনা গেলে এই টুইট করতেন না’।
জবাবে অঙ্কুশ পালটা লেখেন, ‘আপনাদের প্রবলেমটা হচ্ছে কিছু বক্তব্য রাখলেই ভেবে বসেন এ হয়তো এই দলের, ও হয়ত ওই দলের। আরে মশাই, এমন মানুষও আছে যারা শুধুই এই অপেক্ষায় বসে থাকে যে যারাই জিতুক তারা যেন মানুষের ভালো করে, ব্যাস… লাইভ বক্তব্য এক এক করে দুটোই শুনতে চেয়েছিলাম…এইটুকুই’।
এই দুই টুইটের মাধ্যমে অঙ্কুশ বুঝিয়ে দিলেন, তিনি আপতত নির্দল। কোনও শিবিরেই পা বাড়াতে আগ্রহী নন তিনি, তবে সবার বক্তব্য শুনতে চান অভিনেতা। এতটুকুই তাঁর চাওয়া।