নববর্ষে মুক্তি পাচ্ছে অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার ছবি ‘লাভ ম্যারেজ’। পরিচালক প্রেমেন্দু বিকাশ চাকীর পরিচালনায় ফের একবার জুটি বেঁধে দর্শক দরবারে আসছেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা। আপাতত ছবির জন্য জোর কদমে চলছে প্রচার। তারই ফাঁকে সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ছবি, প্রচার ও দুর্নীতিতে টলিপাড়ার জড়িয়ে যাওয়া নিয়ে নানান কথা বলেছেন অঙ্কুশ ঐন্দ্রিলা।
অঙ্কুশ মনে করেন, দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য় ছবির প্রচার চালানো ভীষণই প্রয়োজন। আজকাল OTT-র দৌলতে সিরিজ, সিনেমা দেখা দর্শকদের হাতের মুঠোয়। তাই হলে নিয়ে গিয়ে দর্শকদের ছবি দেখানোর জন্য প্রচার ভীষণই জরুরী বলে মনে করেন অঙ্কুশ। তাঁর কথায় যাঁদের ছবি তাঁরা গুরুত্ব না দিলে দর্শক কেন গুরুত্ব দেবে! নিন্দুকেরা বলছেন, দেব-রুক্মিণীকে নকল করছেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা। যে প্রসঙ্গে অঙ্কুশের সাফ কথা, সকলের থেকেই শেখার আছে। ভালো কিছু কারোর থেকে শিখলে অসুবিধা কোথায়!
এদিকে অঙ্কুশের নায়িকা ঐন্দ্রিলা সেনের কথায়, তাঁরা নন, এই ছবির আসল নায়ক-নায়িকা হলেন রঞ্জিত মল্লিক-অপরাজিতা আঢ্য। ছবিতে তাঁরা পাশের বাড়ির ছেলেমেয়ের মতোই ভীষণ পরিচিত দুটি চরিত্র। অঙ্কুশের কথায়, চিত্রনাট্য পছন্দ না হলে তিনি টাকা দিলেও ছবি করেন না। আর তাঁর সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেন নায়িকা তথা তাঁর রিয়েল লাইফ প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা সেন। আজকাল দুর্নীতিতে টলিপাড়ায় জড়িয়ে যাওয়ায় কি ভয় ধরিয়েছে, সেপ্রসঙ্গে অঙ্কুশ কিছু বলার আগেই ঐন্দ্রিলা বলেন, তাঁর যখন মনে হয় কোথাও কোনও গণ্ডোগোল রয়েছে, সেকথা অঙ্কুশকে জানান। অঙ্কুশও তখন সেখানে আর থাকেন না, সরে যান। তবে তাঁদের পক্ষেও সবসময় সবটা বোঝা সম্ভব হয় না, কারণ তাঁরাও তো মানুষ।
অঙ্কুশ বলেন, তাঁকেও একজন খড়গপুর আইআইটি জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে ফাইন্য়ান্স করতে এসেছিলেন, পরে বোঝেন উনি আসলে ভুয়ো। বলেছিলেন কোটি টাকা, কিন্তু তাঁর ব্যাঙ্কে ছিল ৭০০ টাকা। অঙ্কুশের কথায়, সেবার তিনিও ফেঁসে যেতেন, কিন্তু বেঁচে গিয়েছেন। অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা জানান, তাঁদের বিয়ে নিয়ে বাড়ির লোকজন বলা ছেড়ে দিয়েছেন। একেবারেই হাল ছেড়েছেন তাঁরা।