Ankush-Oindrila: উইকএন্ডে অঙ্কুশের বাড়িতে কুকিং কম্পিটিশন! সহবাস সঙ্গী ঐন্দ্রিলা না শ্যালিকা—জয়ী কে?

‘মেয়েটা দেখতে যেমনই হোক রান্নাটা কিন্তু ভালোই করে', ঐন্দ্রিলার প্রশংসায় অঙ্কুশ। শ্যালিকাকে কত নম্বর দিলেন?

টলিপাড়ার অন্যতম চর্চিত জুটি অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা। তাঁদের সম্পর্কের বয়স ১৪ বছরের। গত পাঁচ বছর ধরে লিভ ইনে রয়েছেন দুজনে। তবুও ছাদনা তলায় বসছেন না! বিয়ের প্রশ্ন বরাবরই এড়িয়ে যান অঙ্কুশ, তাঁর কথায় ‘একসঙ্গেই তো থাকি’।

অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার রসায়ন, খুনসুটি সবসময়ই নজরকাড়া। লিভ ইন পার্টনার ঐন্দ্রিলা কিন্তু অঙ্কুশের আদর-যত্নে খামতি রাখেন না। শনিবার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন অঙ্কুশ। সেখানে দেখা গেল তারকা যুগলের অ্যাপার্টমেন্টে শনিবার সন্ধ্যায় বসছে কুকিং কম্পিটিশন! মুখোমুখি ঐন্দ্রিলা আর তার বোন উষসী। আর হেলথি চিকেন কাটলেট আর আলুর পরোটায় জমজমাট পেটপুজো সারলেন অঙ্কুশ।

ভিডিয়োর শুরুতেই দেখা গেল চিকেন কিমা হাতে ব্যস্ত ঐন্দ্রিলা। হবু বউয়ের সঙ্গে খুনসুটির সুযোগ ছাড়লেন না নায়ক। বললেন, ‘ওর একটা স্বভাব হচ্ছে রান্নাটা যতই সহজ হোক না কেন, এমন দেখাবে যেন ওহ ছাড়া আর কেউ পারবে না’। ব্যাস রেগে কাঁই ঐন্দ্রিলা, সটান বললেন, ‘তুমি করে দেখাও না’। ওমনি বোলতি বন্ধ অঙ্কুশের। চলে আসেন পিঁয়াজ কাটতে ব্যস্ত শ্যালিকার কাছে। এসে জানতে পারলেন, সে অন্য পদ রান্না করছে-আলুর পরোটা। উষসী জানিয়ে দেয় দিদির মতো হেলথি খাবার তৈরিতে আগ্রহী নয় সে।

এরপর ফের ঐন্দ্রিলার সামনে গিয়ে শুরু অঙ্কুশের বকবকানি। সেখানে ধনে পাতা নিয়ে যৌনগন্ধী মন্তব্য করতেও পিছপা হলেন না। ঐন্দ্রিলা সহজভাবে জানান, ধনে পাতাটা রান্নায় কম পড়বে। তাতে অঙ্কুশ বলেন, ‘ধনে পাতা আসেনি, এখনও বয়সনি। আসবে বড় হলে আসবে’। অঙ্কুশের এহেন কথা শুনে হাসি চাপতে পারেনি ঐন্দ্রিলা।

আলুর পরোটা রান্নাতেও কড়া নজরদারি রাখলেন অঙ্কুশ। কখনও শ্যালির কাছে প্রশ্ন, ‘তুই সিওর তো আলুর পরোটাতে আলু মাখা হয়?’ কাজের সময় এইভাবেই প্রিয়জনদের বিরক্ত করার দায়িত্ব অঙ্কুশ তুলে নেন নিজের কাঁধে। কুক নম্বর ১ ঐন্দ্রিলার রান্নায় মুগ্ধ অঙ্কুশ। জানিয়েও দেন, ‘মেয়েটা দেখতে যেমনই হোক রান্নাটা কিন্তু ভালোই করে’।

চিকেন কিমা কাটলেট খেয়েই তাগাদা দিলেন উষসীকে। তাড়াতাড়ি তাঁর প্লেটে চাই আলুর পরোটা। শ্যালিকা প্লেট সাজিয়ে দিতেই পরোটা রায়তাতে চুবিয়ে মুখ তুললেন অঙ্কুশ, সঙ্গে সঙ্গে স্বাদের বিস্ফোরণ। শ্যালিকাকে ফুল মার্কসের সঙ্গে দিলে স্নেহচুম্বন। 

এই ভিডিয়োর কমেন্ট বক্সে সুদীপা চট্টোপাধ্যায় ঐন্দ্রিলার প্রশংসা করে লেখেন, ‘কত কাজের মেয়ে আমাদের…. দেখে চোখ জুড়িয়ে গেলো।' তৃণা সাহা থাইল্যান্ড থেকেই জানতে চান, ‘আমাদের কবে খাওয়াচ্ছো?’ অনুরাগীদের যদিও একটাই প্রশ্ন, ‘তোমরা বিয়েটা কবে করছো?’ 

এই প্রশ্নের জবাব তো একমাত্র অঙ্কুশ আর ঐন্দ্রিলাই দিতে পারবেন!