আজকাল অনেক সময়ই দেখা যায় যে অভিনেতারা অভিনেতা হিসেবে নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে না করতেই রাজনীতিতে যোগ দেন। নির্বাচন লড়েন। অঙ্কুশ হাজরা, যিনি না বাংলার অন্যতম সুপারস্টার তাঁর কাছে এরম কোনও প্রস্তাব আসেনি? রাজনীতি নিয়েই বা তাঁর মত কী?
আরও পড়ুন: প্রচারের ফাঁকে ক্রিকেটে মন দেবের, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জিতলেন নাকি হারলেন?
রাজনীতিতে যোগদান করার বিষয়ে কী বললে অঙ্কুশ?
সামনেই মুক্তি পাচ্ছে অঙ্কুশ হাজরার নতুন ছবি মির্জা। ইদের সময় ১০ এপ্রিল বড় পর্দায় আসছে এই ছবি। আপাতত তিনি জমিয়ে প্রচার করছেন এই ছবির। ভোটের আবহে মুক্তি পাচ্ছে মির্জা। যখন বাংলার অনেক অভিনেতারা রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন তখন অঙ্কুশ কেন আসছেন না পলিটিক্সের ময়দানে? এই প্রশ্ন উঠতেই তিনি মির্জার প্রচারে এসে সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, 'ডাইরেক্টলি বা ইনডাইরেক্টলি টুকটাক যে অফার আসে না সেটা নয়। কিন্তু আমি একাধিক সাক্ষাৎকারে রাজনীতিতে নিয়ে এমন এমন কথা বলেছি যে ওরা আর তারপর আমায় কিছু বলতে আসে না। নিজেরাই বুঝে গেছে যে বেফাঁস এমন কিছু বলে দেব যাতে দলের চাপ হয়। তাই আমি কাজ, শ্যুটিং আর বাড়ি নিয়েই থাকি। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যতটা করা দরকার আমি আমফান, কোভিড, সহ অন্যান্য সময় করেছি।' একই সুর শোনা যায় ঐন্দ্রিলা সেনের গলায়। তিনি বলেন, 'আমার কাছে অনেক অফার এসেছে। কিন্তু আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ কী? অভিনয়। এখন কেউ যদি বলে ভোটের প্রচারে যাবে না সিনেমার শ্যুটিংয়ে আমি দ্বিতীয়টাই বেছে নেব।'
রাজনীতি নিয়ে আর কী বললেন অঙ্কুশ?
রাজনীতি নিয়ে অঙ্কুশ বলেন, ‘কেউ কেউ আছেন যাঁরা সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে রাজনীতিতে আসেন। এবার কেউ কেউ আছেন যাঁরা কিচ্ছু বোঝেন না। কিছু না। খালি একটা অলটারনেটিভ কেরিয়ারের জন্য চলে যায়। পার্টি টুইট করতে বলে করে, জানেও না, বোঝেও না। আবার টুইট করে যাঁকে নিয়ে টুইট করেছেন তাঁর হাতে পায়ে ধরেন। আমি এসব জানি, এঁদের কাছ থেকে দেখেছি। জানি। তাই বলছি। আমি তো এঁদের অনেককেই বলেছি, যে ইন্ডাস্ট্রি থেকে এসেছ সেখানেই মাটি শক্ত হল না এর মধ্যে আবার অন্য পেশা। আমাদের পেশায় তো আর টাকা কম নয়, তাও যে কেন করে! দেবের কলিজা আছে। ওর বক্তব্য শুনতে ভালো লাগে। ওর কথা বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে। ৪টে লোককে গালাগালি করে, কাদা ছোড়াছুড়ি করে ভোট নেওয়ার বান্দা ও নয়। মিমিও চেষ্টা করেছে অনেকটাই। অকারণ ট্রোলিংয়ে কষ্ট পায়। সরে এসেছে তাই। কিন্তু যতদিন ছিল সততার সঙ্গেই ছিল। তাই, না বুঝলে পলিটিক্স থেকে দূরে থাকো বাবা। সবাইকেই বলতে চাই এটা পয়সা কামানোর জায়গা নয়। রাজ্যটা আর নষ্ট করো না।’