পুজোর প্রেমের মজাটাই কিন্তু আলাদা। সেই টিনএজ থেকেই পুজোয় হাত ধরে ঠাকুর দেখার একটা আলাদা আনন্দ থাকে সকলের। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ভালোলাগাটাই মিস করতে থাকে সবাই। এটা শুধু আমার-আপনার ক্ষেত্রে নয়, খাটে তারকাদের ক্ষেত্রেও। এই যেমন অঙ্কুশ জানালেন, ছেলেবেলার পুজো বড্ড মিস করেন তিনি।
এখন ইউরোপে আছেন অঙ্কুশ আর ঐন্দ্রিলা। সপ্তমীর দিন কলকাতায় ফিরছেন। তবে পুজোর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে গিয়ে অভিনেতা জানালেন বর্ধমানে থাকতেন যখন বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে বেরিয়ে পড়তেন। পায়ে হেঁটেই দেখতেন ঠাকুর। আসতেন কলকাতাতেও। তবে পুজোর প্রেমটা নাকি খুব একটা হয়নি! অঙ্কুশ জানালেন, একটু লাজুক ছিলেন। তাই আর প্রেম করাটা হয়ে ওঠেনি।
পুরনো কথা ভাগ করে নিতে গিয়ে অঙ্কুশ জানান, আগে খিদে পেলে রাস্তার পাশের কোনও রেস্তরাঁ বা খাবারের দোকানে ঢুকে দিব্যি কুলচা, বাটার চিকেন মুখে পুড়তেন। তবে এখন আর যেখানে ইচ্ছে যাওয়া সম্ভব হয় না। এমনকী ঠাকুর দেখতে যেতে হলেও আগে মণ্ডপের কর্মকর্তাদের জানিয়ে রাখতে হয়। আরও পড়ুন: আঁটোসাঁটো পোশাকের কারণে বিপাকে, ব্যাঙের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে হাঁটছে কিম কর্দাশিয়ান
তবে পুজোয় বাড়িতেই জমিয়ে খাওয়াদাওয়া করেন। সারাবছর ডায়েটের চাপে মায়ের হাতের যে প্রিয় খাবারগুলি খাওয়া হয় না, পুজোর চারটে দিন সেগুলোই খান। ভারতীয় পোশাকই পরার চেষ্টা করেন কটা দিন। অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা দু’জনে মিলে পরিবারের সকলকে নতুন পোশাক উপহার দেন।
কাজের সূত্রে, অঙ্কুশ হাজরা দিনকয়েক আগেই ঘোষণা করেছেন নিজের প্রোডাকশন হাউজ। অঙ্কুশ হাজরা মোশান পিকচার্সের নিবেদনায় আসছে অভিনেতার নতুন ‘মির্জা’। যার ফার্স্ট লুকও সামনে এসেছে। যা দেখে অনেকেই দক্ষিণের সুপারহিট ছবি ‘কেজিএফ’-এর সঙ্গে তুলনা টানা আরম্ভ করেছে।