‘মাছ নিলাম, মাছের সঙ্গে রুটি নিলাম, এবার মাছের সঙ্গে রুটি বেলছি। এটা হচ্ছে চাপাটি ফিস।' ভাবছেন তো এ আবার কী অদ্ভূত রান্না রে বাবা! হ্যাঁ, অদ্ভুত-ই বটে। তবে এটা হল অঙ্কুশ স্পেশাল রান্না। জি বাংলার 'ডান্স বাংলা ডান্স'-এ এমনই আজব রান্না করতে দেখা গিয়েছে সঞ্চালক অঙ্কুশকে।
তবে অঙ্কুশ শুধু মাছ ও রুটি একসঙ্গে বেলেই খান্ত হননি, সেটাকে গরম চিনিতে ফেলে ভেজেছেন, তারপর তার মধ্যে দিয়েছেন ১০টা রসগোল্লা। কিছু বুঝতে পারছেন না তো? ভাবছেন এসব কী লেখা! তবে সম্প্রতি 'ডান্স বাংলা ডান্স'-এমনই কাণ্ড করেছেন অঙ্কুশ। বললেন এটা নাকি প্রতিযোগী ঋষিতার রান্না। রান্না করে সেটা ঋষিতাকে খাইয়েওছেন। তবে সবটাই অঙ্কুশ করেছেন ‘মিছিমিছি’। সেখানে আদৌ মাছ, রুটি, চিনি রসগোল্লা কিছুই ছিল না। ছিল শুধু গ্যাস ওভেন, হাঁড়ি-কড়া, চাটু, বেলন চাকি। অভিনেতা, সঞ্চালকের এমন কাণ্ডে না হেসে পারেনি নেটপাড়া।
আরও পড়ুন-অঙ্কুশের জীবনে ‘ঐন্দ্রিলা আউট, পূজা ইন’! 'লাভ ম্যারেজ'র কথার মাঝেই ফাঁস পরকীয়া?
তবে কিছু নেটনাগরিক অঙ্কুশের এমন কাণ্ড দেখে ট্রোল করতেও ছাড়েননি। কেউ মনে করিয়েছেন, ‘অঙ্কুশ এটা জি বাংলার রান্নাঘর নয়, নাচের প্ল্যাটফর্ম। নিজেদের ড্রামা বন্ধ করে, যেটার জন্য শো করতে এসেছেন, সেটায় বেশি হাইলাইট করলে ভালো হয়।’ কারোর কটাক্ষ, ‘ভাঁড়ামির একটা লিমিট থাকে, সবকিছুতে জোর করে হাসানো যায় না।’ তবে কেউ আবার অঙ্কুশকে এধরনের আক্রমণের বিরোধিতা করে লিখেছেন, ‘আপনার ভালো না লাগে দেখছেন কেন! কেউ তো জোর করেনি।’
এর আগেও 'ডান্স বাংলা ডান্স জুনিয়ার'-এ রান্না নিয়ে এমন মজা করেছেন অঙ্কুশ। এক খুদে প্রতিযোগী বলেছিল, সে বেশ ভালো রান্না করে। অঙ্কুশকে সিঙারা বানানো শেখাবে। সিঙারার রেসিপি শুনে অঙ্কুশ স্টেজেই সিঙাড়া বানাতে বসে গিয়েছিলেন। আলুকাটা থেকে সিঙারা ভাজা সবই স্টেজে মিছিমিছি করেছিলেন অঙ্কুশ। যা দেখে মিঠুন চক্রবর্তী প্রশ্ন করেছিলেন, অঙ্কুশ কি ক্যাটারিং খুলেছেন নাকি! এছাড়াও শোয়ের প্রতিযোগী, বিচারক সকলের সঙ্গেই নানান রকম মজা করতে দেখা যায় অঙ্কুশকে। প্রসঙ্গত ‘ডান্স বাংলা ডান্স জুনিয়র’-সঞ্চালক অঙ্কুশ ছাড়াও বিচারক হিসাবে রয়েছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়, ও মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী।