আরজি করের নির্যাতিতার কেসের ৯ সেপ্টেম্বর শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। আর এদিন পরবর্তী শুনানির তারিখ দিয়ে কোর্টের তরফে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির অবসান ঘটিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার আদেশ দেওয়া হতেই অঙ্কুশ হাজরা একটি পোস্ট করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কী লিখলেন অঙ্কুশ হাজরা?
অঙ্কুশ হাজরা এদিন নিজের ক্ষোভ উগরে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি সেই পোস্টে লেখেন, 'আর ভালো লাগছে না। মানুষ হিসেবে জীবন নিয়ে গর্ব বোধ করেন না ঘৃণা বোধ করব বুঝতে পারছি না।'
আরও পড়ুন: 'চুল টানা'র হুমকি পাপিয়ার! জবাবে কটাক্ষ করে কুণাল বললেন, 'ওটা কমে এসেছে, নজর দেওয়ার বদলে বরং...'
তিনি এদিন আরও লেখেন, 'মেয়েটির বাবা মা বলেছেন ওঁরা একটি মেয়ে হারিয়েছেন কিন্তু হাজার হাজার ছেলে মেয়ে পেয়েছেন। এই ভাবনাটি ভেঙে যেন চুরমাচুর না হয়ে যায়।'
কী ঘটেছে?
৯ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে আগামী সপ্তাহে পরবর্তী শুনানির দিন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে উৎসবে ফেরার বিধান দিয়েছেন। আর এই দুই ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় উগরে দিয়েছেন ক্ষোভ।
আরও পড়ুন: কেবল কলকাতা নয়, ২৫ দেশের ১৩০ শহরের হাজার হাজার মানুষ পথে নামছেন RG Kar এর বিচার চেয়ে!
কে কী লিখেছেন?
অনেকেই অঙ্কুশের এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 'সারমর্ম কি দাঁড়াল? সিসিটিভিতে টেকনিকাল গ্লিচ। সিবিআইয়ের কাছে মাত্র ২৭ মিনিটের ফুটেজ এসেছে। চালান ছাড়াই ময়নাতদন্ত নাকি হয়ে গেছে! ২৭ তারিখে পুলিশের উপর নবান্ন অভিযানের আঘাতে, কপিল বাবুর মনে হয়েছে বাংলায় কনস্টিটিউশন ভেঙে পড়েছে আর পুরো প্রতিবাদটাই হিংস্র। সিবিআই AIIMs -এর রিপোর্টের অপেক্ষায় থাকছে। পাশের টয়লেট (বেসিন) ও চেস্ট ওয়ার্ডের দেওয়ালের পুনর্নির্মানের ফলে সেখানে নতুন টাইলস বসে গেছে। কোনও তথ্যপ্রমান পাওয়া সম্ভব নয়। সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে চেঁচিয়ে তর্ক করা যায় না, ওটা সিনেমায় সানি দেওলকেই মানায়। কাল বিকেল ৫ টার মধ্যে জুনিয়ার ডাক্তাররা কাজে ফিরলে সরকার disciplinary অ্যাকশন নেবে না। না ফিরলে নিতে পারে, তার দায় ডাক্তারদের।' আরেকজন লেখেন, 'নাটক করছেন কেন? আপনি তো ওঁকেই সমর্থন করেন।'