সারেগামাপা-র শনিবারের পর্ব ঘিরে শুরু হয়েছিল বিরাট বিতর্ক! এদিন এপিসোডের শেষে বাদ পড়েছিলেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মেয়ে সপ্তপর্ণী বসু। বিশাল-শেখরের কম্পোজ করা ‘খুদা জানে’-এর মতো রোম্যান্টিক গান গেয়েও বিচারকদের মন জিততে পারেননি সপ্তপর্ণী। তাঁর পারফরম্যান্সের কমবেশি সমালোচনা করেন প্রত্যেক বিচারকই। তবে অন্তরা মিত্রের মতামত নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। সেই প্রসঙ্গেই এবার একান্ত সাক্ষাৎকারে হিন্দুস্থান টাইমস বাংলার কাছে মুখ খুললেন গায়িকা।
এ প্রসঙ্গে অন্তরা বলেন, 'এই নিয়ে আমার সত্যিই কিছু বলার নেই। আমরা যাঁরা বিচারক হিসেবে এই মঞ্চে রয়েছি, তাঁদের সঙ্গে প্রতিযোগীদের সম্পর্কটা অনেক বেশি আত্মিক। টেলিভিশনের পর্দায় যতটুকু দেখা যায় বা যতটুকু আমরা দেখাতে সক্ষম হই, তা দেখে সত্যি বোঝা যায় না যে ওঁদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা কতটা গভীর। ওদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা এমনই হয়ে গিয়েছে যে, ওরা গান ভালো করলে আমাদের আনন্দ হয়, খারাপ গাইলে আমাদের কষ্ট হয়। এই সম্পর্কটা দর্শকদের সত্যি বোঝানো সম্ভব নয়। আমরা যাঁরা এই বিচারকের আসনে বসেছে রয়েছি, তাঁরা সঙ্গীত জগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।'
আরও পড়ুন: ‘শিক্ষা হওয়া দরকার…’ শিক্ষক দিবসে প্রতিবাদের সুর মীরের পোস্টে
গায়িকার মতে বিচারকদের প্যানেলে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের থেকে অভিজ্ঞতা হয়তো কিছুটা কম তাঁর ও ইমন চক্রবর্তীর। কিন্তু তাও তাঁরা তাঁদের যতটুকু কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, তা থেকে যতটা পারেন সবটা প্রতিযোগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে, তাঁদের শেখানোর চেষ্টা করেন। অন্তরা বলেন, 'আমাকে নিয়ে যতই ট্রোল করা হোক, আমি তাও ওঁদের এভাবেই শিখিয়ে যেতে চেষ্টা করব। যখন শেখানোর সত্ত্বেও একজন বারবার একই ভুল করছে, তখন সত্যি খারাপ লাগে। বারবার বলেছি যে এটা করিস না বা এটা বদল কর, কিন্তু তারপরেও যখন সে একই ভুল করছে তখন আমরা গুরু নয়, বাড়ির বড় দিদি মতো করে আমরা শাসন করবই। তাতে যদি কারও কিছু মনে হয়, তাতে সত্যি কিছু করার নেই। কারণ ওদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটাই এমনই।'
প্রসঙ্গত, অন্তরা নিজে যেহেতু একটি রয়েলিটি শোয়ের প্রতিযোগী ছিলেন তাই তাঁর সেই অভিজ্ঞতাও তিনি প্রতিযোগিদের সঙ্গে মাঝে মাঝেই ভাগ করে নেন। তাঁর মতে, 'যেহেতু আমি এক সময় প্রতিযোগী ছিলাম, তাই আমি প্রতিযোগীদের মনের অবস্থাটা বুঝি। ওঁদের সমস্যাটা আমি ভালো ভাবে বুঝতে পারি। তাই ক্যামেরা বন্ধ হলেই ওরা আসে আমার কাছে। কারণ আমি ওদের বুঝি। জানি যে ওই মঞ্চে দাঁড়িয়ে গাইতে গেলে হাঁটু কাঁপে।'
উল্লেখ্য, শনিবারের এপিসোডে জি সারেগামাপা-র বিজয়ী কুশলের সঙ্গে গান করেছিলেন সপ্তপর্ণী। বিচারকরা নিজেদের মন্তব্য জানানোর সময় অন্তরা সপ্তপর্ণীকে দু-লাইন ফের গাইতে বলেন। এরপর নিজে সেই দু-লাইন গেয়ে সপ্তপর্ণীকে শোনান। তারপর বলেন, ‘হামকো ক্যায়া লেনা (একটু ন্যাকা সুরে) এইগুলোর দরকার নেই। এটা না বয়-গার্ল গান ছিল না। এটা ম্যান-ওম্যান সং। এইগুলোর কোনও দরকার নেই।' কিন্তু অন্তরার সেই বলার ধরণ পছন্দ হয়নি নেটিজেনদের একটা বড় অংশের।