আশিকীর সুবাদে আজ থেকে তিন দশক আগে দর্শক মনে ঝড় তুলেছিলেন অনু আগারওয়াল। আট থেকে আশি- অনুর জাদুতে মুগ্ধ ছিল গোটা দেশ। তবে আশিকীর আকাশছোঁয়া সাফল্য পালটে দেয়নি অনুর ভাগ্য। এরপর ধীরে ধীরে বলিউড থেকে হারিয়ে যান ‘আশিকী’ নায়িকা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে বলিউডে নিজের স্ট্রাগল নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন অভিনেত্রী। ‘আমি একাই একটা বাড়িতে থাকতাম, সব ম্যানেজ করতাম। আমার কোনও সুগার ড্যাডি ছিল না, আমার এক বয়ফ্রেন্ড ছিল যে মুম্বইয়ে থাকত না। লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপ হওয়ায় সেটাও টিকিয়ে রাখতে পারিনি। আমি খুব একাকীত্বে ভুগেছি’, আক্ষেপের সুরে জানান অনু।
এরপর বলিউড ছেড়ে বিদেশি কাজ করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অনু আগারওয়াল। ‘একদিন আচমকাই আমি লস অ্যাঞ্জেলস যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই, ওখানে একটা দারুণ মডেলিংয়ের অফার পেয়েছিলাম। যখন আমি যেখানে সাক্ষাত্ করতে গেলাম… আমি প্রকাশ্যে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আমার গায়ের রঙ নিয়ে কি আমি মেইন লিড মডেল হতে পারব? আজকের দিনে সকলে বর্ণবিদ্বেষের কথা বলে। ২৫ বছর আগের ঘটনা এটা। আমি নিজের দেশের প্রথম সারির নায়িকা ছিলাম, কেন অন্য দেশে গিয়ে সাইড রোল করব? শুধু টাকার জন্য?’, জানান অনু। শো'জ স্টপার না হতে পারায় দেশে ফিরে আসেন তিনি, এরপর যোগা এবং ধ্যানেেই মন দেন।
এর আগে পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসবার কাহিনি জানিয়েছিলেন অনু। ১৯৯৯ সালে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার শিকার হন অভিনেত্রী। চিকিত্সরা বলেছিলেন তিন বছরের বেশি বাঁচবেন না অভিনেত্রী। তবে তিনি লড়াই করেছেন, জীবন-যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন।
আশিকীর পর রাকেশ রোশনের কিং অ্যাঙ্কেল ছবিতে কাজ করেন অনু। ‘রিটার্ন অফ জুয়েল’ ছিল অনুর শেষ বক্স অফিস রিলিজ।
অনু আগারওয়াল আপতত বি-টাউনের কেউ নন। মুম্বইতে যোগাসনের স্কুল খুলেছেন। সেখানে বস্তির বাচ্চাদেরও যোগা শেখান অনু, খুব সাধারণভাবে বাঁচেন। আজও বিয়ে করেনি, একাই কাটাচ্ছেন জীবন।