বক্স অফিসে কামাল দেখিয়েছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। ছবির জয়যাত্রা এখনও অব্যহত। এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম চর্চার বিষয় বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত এই ছবি। সাথে করে বিতর্কিতও। আর এবার বিতর্কের আগুন আরও উসকে দিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি থ্রো ব্যাক ভিডিয়ো পেস্ট করতে দেখা গেল অনুপম খেরকে। যা তোলা হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। উপত্যকায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণহত্যার পর প্রথমবারের জন্য দিল্লিতে একটি জমায়েতের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই বক্তৃতা দিতে হাজির ছিলেন অনুপম খের। ভিডিয়োতে অনুমপকে কাশ্মীরের পোশাক ‘ফেরান’ও পরতে দেখা যাচ্ছে সম্মান জানিয়ে।
নিজের বক্তৃতায় অনুপমকে বলতে শোনা গেল, ‘প্রথমেই আমি দুঃখিত কারণ আমি দেরি করে এসেছি। আমি ভেবেছিলাম আমার নিজের গোষ্ঠী, আমার নিজের লোকেরা আমাকে সম্মান দিচ্ছে, তাহলে আমাকে স্যুট পরে আসতেই হবে। আর যাঁকে আমার স্যুট আয়রন করতে দেই, সে আমার প্যান্ট জ্বালিয়ে ফেলে। আজ আমি এখানে কোনও তারকা হয়ে আসিনি। আমি আজ এসেছি একজন ছেলে হয়ে, একজন ভাই হয়ে যাঁর পরিবারকে নিজের ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে, যেখানে সে ছোট থেকে বড় হয়ে উঠেছে। আমার দাদুর কাশ্মীরে একটা ছোট ঘর ছিল। যখনই আমি সেখানে গিয়েছি, ভাবতাম দাদুর পর এই বই, এই ঘর আমার হবে। কত দুস্প্রাপ্য বই ছিল সেখানে কাবার্ডে। কিন্তু ভাবতে কষ্ট হয় রিফিউজির মতো সব ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়েছে ওঁদের একটা ভাঙা ট্রাঙ্ক নিয়ে। অন্ধকারে ৫০০ থেকে ১০০০ কিলোমিটার হাঁটতে হয়েছে। আমাদের যখন ওখানে নিজেদের বাড়ি আছে, তখন আমরা সেখানে ফেরত যাবই। কেউ আটকাতে পারবে না। কারণ কাশ্মীরি হিন্দুদের মতো শান্ত সম্প্রদায় আর হয় না।’
ভিডিয়োটি শেয়ার করে অনুপম লিখেছেন, ‘গণহত্যার ৩ বছর পর দিল্লিতে অত্যাচারিতের প্রথম জমায়েত। আমাকে সেখানে কিছু বলার জন্য ডাকা হয়েছিল এই সম্প্রদায়ের একজন নামী মানুষ হিসেবে। বিগত ৩২ বছর ধরে নিজের দেশে রিফিউজির মতো থাকা এই মানুষগুলোর গলার আওয়াজ হওয়ার চেষ্টা করে চলেছি। আর এখন এসছে #দ্য কাশ্মীর ফাইলস। আমরা শিক্ষিত, আশাবাদী। আমরা দেখব।’ সঙ্গে নিজের পোস্টে #KashmiriPandits কথাটি ব্যবহার করেছেন অনুপম।