ফিল্ম কেরিয়ারে বেশিরভাগ সময়ই বর্ষীয়ান চরিত্রেই দেখা গিয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি এবিষয়েই মুখ খুলেছেন অভিনেতা অনুপম খের। তাঁর কথায়, শুরুর দিকে তিনি বোঝেননি, যে এতে আখেরে তিনি উপকৃতই হয়েছেন। নিজের প্রথম ছবিতেই ৬৫ বছরের বৃদ্ধের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অনুপম। অথচ তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৩০। প্রসঙ্গত সারাংশ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮৪ সালে।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নিয়মের বিপরীতে হেঁটে নায়িকার বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অনুপম খের। 'বিজয়' ছবিতে অভিনয় করেছিলেন হেমা মালিনীর বাবার ভূমিকায়। যদিও বাস্তবে হেমা তাঁর থেকে ৬ বছরের বড়। সম্প্রতি ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এবিষয়ে মুখ খুলেছেন অনুপম। এই 'বিজয়'ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮৮ সালে।
আরও পড়ুন-মুম্বইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সঙ্গী তাঁর কাছের মানুষরা…
আরও পড়ুন-'গানের অনুভূতি প্রকাশের জন্য অল্পই মদ খেয়েছিলাম', মঞ্চে মাতলামি নিয়ে বলছেন নোবেল

'বিজয়' ছবিতে অনুপম খের

'সারাংশ' ছবিতে অনুপম খের
অনুপম খের বলেন, ছবিতে ছেলেকে বয়স্ক বানানোর জন্য তাঁর মা দুলারি খের প্রায়ই চটে যেতেন। কারণ, তিন অতটাও চরিত্রের মাহাত্ম্য বুঝতেন না, পরে যখন আমি পরিচিতি পেতে থাকি, তখন তিনি বেশ খুশি হয়েছিলেন। অনুপম বলেন, সাধারণত দেখেছি মহিলা অভিনেতাের পুরুষ অভিনেতার মা, ঠাকুমার চরিত্রে অভিনয় করানো হয়েছে। আবার ৬০-৭০ বয়সের পুরুষরাও বয়সের তুলনায় অল্পবয়সী চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
এদিকে সম্প্রতি অভিনেত্রী রোহিণী হট্টঙ্গডি বলেন, তিনি মাত্র ২৭ বছর বয়সে কস্তুরবা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। একটা ইউটিউব চ্যানেলের অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন, রোহিণী হট্টঙ্গডি বলেন তিনি যখন সেই ছবিতে অভিনয় করছেন, তখন সেখানে জিতেন্দ্র, ধর্মেন্দ্র, অমিতাভ জি, মিঠুন, শত্রুঘ্ন সিনহা, সবাই তাঁর থেকে অনেক বড়, কেউ কেউ দশ বছরেরও বড় ছিলেন!