বক্স অফিসে ভরাডুবি হয়েছে আমির খানের। বয়কট লাল সিং চাড্ডা ট্রেন্ড এতটাই মারাত্মক ছিল যে সিনেমাহলে পৌঁছননি অনেকেই। দেশে ১০০ কোটির ব্যবসাও ছবিখানা করতে পারবে কি না নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। যেখানে সিনেমার বাজেট ছিল প্রায় ২০০ কোটি। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন অনুপম খের। যদিও তা কিছুটা আমির খানের বিরুদ্ধেই গেল। শুধু তাই নয়, অনুপম টুইটারের এই ‘বয়কট কালচার’ নিয়ে বললেন যার যা মনে হবে সে তা শুরু করতেই পারে টুইটারে। এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার।
বয়কটের এই ট্রেন্ড হঠাৎ করেই শুরু হয় যখন ২০১৫ সালে আমিরের দেশের পরিস্থিতি নিয়ে দেওয়া একটা সাক্ষাৎকার হঠাৎ করেই ভাইরাল হয়। যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘বাড়িতে যখন কিরণের (কিরণ রাও, তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী) সঙ্গে বলে কথা বলি, ও বলে আমাদের কি ভারত ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত? এটা খুব ভয়ানক একটা কথা নিসন্দেহে। ও নিজের সন্তানের জন্য ভয় পায়। ও ভয় পায় আমাদের চারপাশের পরিস্থিতি আর কদিন পর কেমন হবে। ও ভয় পায় রোজ সকালে উঠে সংবাদপত্র খুলতে। এর থেকেই বোঝা যায় একটা অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে, একটা হতাশা তৈরি হচ্ছে।’ আর আমিরের এই কথাগুলো তখনও মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছিল। আরও পড়ুন: ‘ফ্লপ ছবি’ লাল সিং চাড্ডা-য় কাজ করতে কত টাকা নিয়েছেন আমির-করিনা-মোনা-নাগারা?
আমিরের এই মন্তব্যের ব্যাপারে ও তাঁকে বয়কট করার ট্রেন্ড নিয়ে এবার মুখ খুললেন অনুপম খের। বললেন, ‘তুমি অতীতে যা বলেছ, তা তোমাকে তাড়া করবেই’। তিনি আরও বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে সে টুইটারে নতুন একটা ট্রেন্ড শুরু করতে চায়, তাহলে সেটা সে করতেই পারে, এতে ভুল কিছু নেই। টুইটারে রোজ নতুন নতুন ট্রেন্ড চালু হচ্ছে।’ আরও পড়ুন: ‘মিথ্যে দোষ’ দেওয়ায় কঙ্গনার নমিনেশন বাতিল করল ফিল্মফেয়ার! নায়িকা বললেন,আদালত যাব
প্রসঙ্গত, একাধিক ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন আমির খান আর অনুপম খের। যার মধ্যে রয়েছে দিল, দিল হ্যায় কে মানতা নেহি-র মতো সিনেমা। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালেও আমিরের বলা কথার বিরোধিতা করেছিলেন অনুপম। টুইটে লিখেছিলেন সেইসময়, ‘তুমি কি তোমার বউ কিরণকে জিজ্ঞেস করেছ কোন দেশে সে যেতে চায়? তুমি কি তোমার বউকে বলেছ এই দেশই তোমাকে আমির খান বানিয়েছে।’ আপাতত বয়কট ট্রেন্ডের নিশানায় লাল সিং ছাড়াও রয়েছে অক্ষয় কুমারের রক্ষা বন্ধন, বিজয় দেবেরাকোন্ডার লাইগার, এমনকী শাহরুখ খানের পাঠানও।