কর্পোরেট দুনিয়া থেকে সঙ্গীত জগৎ, বিনোদনের দুনিয়া সর্ব ক্ষেত্রেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থাবা বসিয়েছে। ইতিমধ্যেই এ আই দ্বারা নির্মিত ছবির ট্রেলার প্রকাশ্যে এসেছে। এই এ আইয়ের মাধ্যমে বহু প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পীর কন্ঠে নতুন নতুন গানও তৈরি করা হয়েছে। সবটা মিলিয়ে বেশ কিছু ক্ষেত্রের কাছেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। কিন্তু সঙ্গীত পরিচালক অনুপম রায়, তিনি কীভাবে দেখছেন এই এ আইকে? তাঁর মতে কোনও শিল্পে ব্যবহারের বদলে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এআইয়ের ব্যবহার বরং বেশি যুক্তি-যুক্ত হবে।
সম্প্রতি সোল কানেকশন মানে একটি পডকাস্টে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন গায়ক। তাঁর কথায়, ‘আমার মনে হয় প্রশাসনিক ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন রয়েছে। তাহলে ঘুষ খাওয়া ব্যাপারটা কমে যাবে। কোরাপশন দূর করার ক্ষেত্রে এটা একটা বড় ভূমিকা নিতে পারে। মানুষকে যে এত এত ট্যাক্স দিতে হয়, এটা তো কোরাপশনের একটা ফল। চুরি করছে একদিক থেকে, অন্যদিকে জন সাধারণের থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। এই ভাবেই আমাদের প্রসাশন চলছে, চলছে আমাদের দেশ তথা বিশ্ব। এবার সেই জায়গাগুলোয় যদি মানুষকে সরিয়ে এ আই বসানো হয়, তখন পুরোটাই নিয়ম মাফিক হবে। খাতায় কোনও গন্ডোগোল হবে না। তাহলে পুরো বিষয়টাই সুবিধাজনক হবে। আর তাতেই বরং আসল উন্নতি হবে। এই সঙ্গীতে এ আই বা এই সব ধরনের ক্ষেত্রে এ আই না এনে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে এ আই আনা দরকার। মানুষ সরাও কোরাপশন সরে যাবে।'
আরও পড়ুন: সামনে সুশান্তের মামলার রিপোর্ট, রিয়ার কাছে সকলকে ক্ষমা চাইতে বললেন দিয়া মির্জা!
অনুপমের এই কথা শুনে নেটিজেনরা নানা মন্তব্য করেছেন। একজন লেখেন, ‘খুব দামি কথা।’ আর একজন লেখেন, ‘দুর্নীতির জন্যও AI-কে প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে।’ আর একজন লেখেন, ‘তবু দেখবেন হবে। কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ডেটা তো মানুষই সেট করে। ওখানেও তখন গোঁজামিল দেবে।’ আর একজন লেখেন, ‘ এ আই তো মানুষই বানায়, সেটাও একটা প্রোগ্রাম, ফলে সেখানেও হবে।’
আরও পড়ুন: দর্শকদের সামনে মঞ্চের উপরই ঠোঁটঠাসা চুমু নিক-প্রিয়াঙ্কার! ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই ভাইরাল