বলিউডে বরাবরই অন্য ধারার ছবি উপহার দিয়ে এসেছেন পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। আর তার বেশিরভাগই একটু গ্রে শেডসের। গালাগালির ব্যবহারও তাঁর ছবিতে খুব সাধারণ। তবে শুনলে অবাক হবেন ১৯৯৮ সালে সেন্সর বোর্ডের কাছে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন ডিকশনারি নিয়ে। ‘সত্যা’ ছবির ঘটনা এটা।
অনুরাগ একটা ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন, যাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে লোকে যেমন মনে করেন ‘চু*য়া’ একটা গালাগালি, তেমনটা মোটেও নয়। শুক্রবার বিকেলে এই নিয়ে ইনস্টায় একটা পোস্টও করেন তিনি। লেখেন, ‘খুব বড় সত্যি এটা। সত্যা যখন সেন্সর বোর্ডের কাছে দেখানো হল তখন আমি ডিকশনারি নিয়ে গিয়েছিলাম ওখানে বসে থাকা লোকগুলোকে এটা বোঝাতে যে চু*য়া কোনও গালাগালি নয়।’
বেশিরভাগই অনুরাগের এই পোস্টে এসে হাসির ইমোজি শেয়ার করে গিয়েছেন। আরেকজন লিখেছেন উত্তপ্রদেশে চু*য়া কথাটা ব্যবহার করা হয় বোকা বোঝাতে।
সাধারণত গালাগালি হিসেবেই ব্যবহার করা হয় চু*য়া কথাটা। তবে ডিকশনারি বলছে আসল মানে হল মাথা মোটা বা নিরেট। হিন্দি শব্দসাগর ডিকশনারি, যা বারাণসী-তে প্রকাশিত দাবি করে এটা কোনও গালাগালি নয়। আরও পড়ুন: বছরে ৪টে ছবি করেন বলে সমালোচনা, বিরক্ত অক্ষয়ের জবাব মুখ বন্ধ করবে ট্রোলারদের
ছবিটি লিখেছিলেন অনুরাগ কাশ্যপ, সৌরভ শুক্লার সঙ্গে। পরিচালনা-প্রযোজনা রাম গোপাল বর্মার। জে. ডি. চক্রবর্তী, মনোজ বাজপেয়ী, উর্মিলা মাতন্ডকর, সৌরভ শুক্লা ও শেফালী শাহ-র মতো তারকারা এই ছবিতে অভিনয় করেন। ভারতে বর্মার গ্যাংস্টারদের কার্যক্ষমতা নিয়ে তৈরি হয়েছিল সিনেমাটা। যাতে দেখা যায় সত্যা (জে. ডি. চক্রবর্তী) চাকরির খোঁজে মুম্বই আসে এবং ভিকু মাহাত্রের (মনোজ বাজপেয়ী) সাথে পরিচিতি হয় এবং মুম্বই আন্ডারওয়ার্ল্ডে যোগ দেয়। সেই বছরে সবথেকে বেশি আয় করেছিল এই ছবি। শুধু তাই নয় সত্যা-ই মনোজ বাজপেয়িকে এনে দেয় তাঁর প্রথম জাতীয় পুরস্কার। আরও পড়ুন: ‘অর্ধনগ্ন’ মালাইকা-উরফি ‘অশ্লীলতা’ ছড়াচ্ছে দেশে! দু'জনের নামে হতে পারে FIR
অনুরাগ শেষ কাজ করেছেন নেটফ্লক্সের AK Vs AK-তে। সেখানে অভিনেতা হিসেবে তাঁর দেখা মিলেছে। তার আগে পরিচলনা করেছিলেন ‘চোকড: পয়সা বোলতা হ্যায়’। বর্তমানে তিনি ব্যস্ত তাঁর পরিচালনায় পরবর্তী ছবি ‘দোবারা’ নিয়ে। যেখানে কাজ করেছেন তাপসী পান্নু। ১৯ অগস্ট প্রেক্ষাগৃহে আসছে এই ছবি।