ফারহা খানের পর এবার অনুরাগ কাশ্যপ, বি-টাউনের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অনর্থক চাহিদা নিয়ে হলেন সরব। বেশ অনেকটা সময় হল বলিউডে সেভাবে সারা ফেলতে পারেনি কোনও ছবি। দারুণ ভাবে হিটও করেনি কোনও সিনেমা। তাই ছবির বাজেট কমাতে মরিয়া নির্মাতারা সম্প্রতি অভিনেতাদের অত্যাধিক পারিশ্রমিক নিয়ে তুলছেন আপত্তি। আর এবার সেই পথে হাঁটলেন অনুরাগও, বলিউড তারকাদের জীবনধারা ও তাঁদের বিরাট চাহিদা নিয়ে এবার মুখ খুললেন তিনি।
পরিচালক বলেন, 'সবচেয়ে হাস্যকর ব্যাপার হল তারকাদের স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরির জন্য এমন কিছু শেফ আছেন যারা প্রতিদিন ২ লক্ষ টাকা নেন। আর পরিমাণে যা খাবার বানায় তা মানুষের না পাখির খাবার বোঝা ভার। অভিনেতার আবার স্বাস্থ্য সচেতন। তাই তাঁদের দাবি তাঁরা নাকি এতটুকুই খান।'
আরও পড়ুন: বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে বিরাট চমক! পর্দায় মুক্তি পেল পার্বতী বাউলের জীবনের গল্প
একথা বলার পাশাপাশি অনুরাগ আরও একটি ঘটনা বর্ণনা করেন। জানান, আবার কিছু কিছু অভিনেতা আছেন যারা শুটিং ফ্লোরে বার্গার খেতে চাইলেন ড্রাইভারদের তিন ঘণ্টার পথ অতিক্রম করে তা এনে দিতে হয়। কারণ এখন অনেক অভিনেতা ভেগান খান, তাছাড়াও পাউরুটিতেও রয়েছে রকম ফের। তাই যে কোনও জায়গা থেকে নয়, বড় কোনও ফাইভ স্টার হোটেল থেকে আনতে হয় সেই বার্গার। এ প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, ‘শ্যুটিং যে লোকেশনে হয় তাঁর থেকে প্রায় ৩ ঘণ্টা দূরত্বের কোনও হোটেলে চালককে গিয়ে সেই বিশেষ বার্গার নিয়ে আসতে হবে। আর সেই খাবার অভিনেতার হাত পর্যন্ত পৌঁছতে পৌঁছতে কিন্তু ঠান্ডা হয়ে যায়।’ অভিনেতাদের সব অন্যায় আবদার রাখার জন্য অনুরাগ প্রযোজক এবং তারকাদের সহকারীদের দিকেই আঙুল তুলেছেন। পাশাপাশি তিনি এও জানাতে ভোলেননি নিজের ছবির ক্ষেত্রে তিনি সেটে এই বিষয়গুলিতে মোটেই অনুমতি দেন না।
অনুরাগ আরও জানান, হেয়ার ড্রেসার বা মেকআপ করেন যেসব শিল্পীরা তাঁরাও প্রতিদিন ৭৫,০০০ টাকা পারিশ্রমিক নেন, যা টেকনিশিয়ানদের পারিশ্রমিকেও ছাপিয়ে যায়। এই নিয়ে অনুরাগ ব্যঙ্গ করে বলেন, যদি তিনি রূপটানশিল্পী হতেন তবে তিনি আরও ধনী হতেন।
আরও পড়ুন: RCB-কে নিয়ে জোকস বলতে গিয়ে নিজেই ট্রোল্ড হলেন কমেডিয়ান! প্রকাশ্যে ভিডিয়ো
তবে শুধু পরিচালক নন, অনুরাগের দীর্ঘদিনের সহকর্মী নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর কথাতেও প্রকাশ পেয়েছে এই একই সুর। নওয়াজউদ্দিন বলেছিলেন, 'অভিনেতাদের এখন অনেক অপ্রয়োজনীয় দাবি রয়েছে, তাঁরা সব কিছু বিলাসবহুল চায়। আমি এমনও শুনেছি যে কিছু অভিনেতাদের পাঁচটি ভ্যানিটি ভ্যান রয়েছে- একটি জিম করার জন্য, একটি রান্নার জন্য, একটি খাওয়ার জন্য, একটি স্নান করার জন্য, আর একটি স্ক্রিট পড়ার জন্য। এটাকে পাগলামি ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে। শুধুমাত্র পাগল হলেই কেউ ৫টি ভ্যানিটি ভ্যান নিয়ে ঘুরতে পারেন।'