ডিভোর্সি মেকআপ আর্টিস্টের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোয় মায়ের সঙ্গে মুখ দেখাদেখি বন্ধ অভিনেত্রী অহনা দত্তর। মা-মেয়ের পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এর মাঝেই বড় ধাক্কা খেলেন অনুরাগের ছোঁয়ার খলনায়িকা।
রবিবার ফেসবুকের দেওয়ালে লিভ ইন সঙ্গীর মায়ের মৃত্যু সংবাদ ভাগ করে নেন অহনা। সেই পোস্টে মনের কষ্টের কথা জানান অভিনেত্রী। গত কয়েক বছরে দীপঙ্করের পরিবারকেই নিজের পরিবার হিসাবে আঁকড়ে ধরেছিলেন অহনা। হবু শাশুড়ি মা ভালোবাসা দিয়ে আগলে রেখেছিলেন অহনাকে। কিন্তু আচমকাই সব শেষ! অহনার জন্মদিন হোক কিংবা দোলের উৎসব, দশমীতে ঠাকুর বরণ হোক কিংবা দীপবলিতে বাজি পোড়ানো- সবসময়ই অহনার পাশে থাকতেন দীপঙ্করের মা।
তিনি না-ফেরার দেশে যাওয়ার পর সেইসব স্মৃতিই বড্ড মনে পড়ছে অহনার। নিজের শুভাকাঙ্খীদের সঙ্গে সেই সব মুহূর্ত ভাগ করে নেন অভিনেত্রী। সঙ্গে জানান, হবু শাশুড়ি মায়ের শেষ ইচ্ছে পূরণ না করতে পারার আক্ষেপের কথাও। সমুদ্র দেখতে ভালোবাসতেন দীপঙ্করের মা। সেখানে নিয়ে যেতে না পারায় হাত কামড়াচ্ছেন অহনা।
খোলা চিঠিতে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আর কোনো কষ্ট হবে না তোমার ! নতুন করে আবার জন্ম নিও …. আর এইবার সমুদ্রের ডেউ হয়ে এসো… তোমাকে শেষ বারের মতন তোমার পছন্দের জায়গা (সমুদ্র )-তে নিয়ে যেতে পারলাম না, তবে পরের বার দীপঙ্কর আর মৌসুমীকেই ছেলে মেয়ে রূপে গ্রহণ করো , বড্ড যে ভালোবাসে তোমাকে, পৃথিবীর সব থেকে ভালো ছেলে মেয়ের সব থেকে ভালো মা, আর আমাদের ব্যপারে নাই বা বললাম ….আবার দেখা হবে আমাদের, আবার ওষুধ খাওয়ার জন্য বকব তোমাকে,আবার চুড়িদার জোর করে পড়াবো… আবার আন্টি বলে ডাকব’।
কঠিন সময়ে দীপঙ্করের হাত শক্ত করে ধরে রয়েছেন অহনা। অহনার প্রেমিক দীপঙ্কর দে আপাতত কাজ করছেন অনুরাগের ছোঁয়াতেই। পেশায় তিনি রূপটান শিল্পী। সিরিয়ালে কাজের সূত্রেই আলাপ দুজনের। মেকআপ করতে করতেই প্রেমে পড়েছেন একে-অপরের। বর্তমানে একসঙ্গেই থাকেন তাঁরা দক্ষিণ কলকাতায়। তাঁদের সম্পর্কের বয়স বছর দেড়েক। বছর ২০-র অহনার সঙ্গে ত্রিশোর্ধ দীপঙ্করের প্রেম মেনে নেননি অহনার মা।
মেকআপ আর্টিস্টের সঙ্গে সম্পর্কে আসায়, মেয়ের উপর রেগেছেন মা! স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর চাঁদনী একাই বড় করেছিলেন মেয়েকে। এমনকী, ডান্স বাংলা ডান্সেও মেয়ের সঙ্গে পারফর্ম করেছিলেন তিনি। তবে এখন আর যোগাযোগ নেই মা-মেয়ের। নেটপাড়াও কম ট্রোল করেনি, দীপঙ্করের সঙ্গে প্রেম নিয়ে। তবে সে-সবকিছুতে পাত্তা দিতে না-রাজ অহনা।