কাশ্মীরে জঙ্গিদের হাতে শহিদ হন নিমরতের বাবা, আর লারার বাবা ছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর পাইলট, এই তারকাদের জন্ম সেনার পরিবারে

Updated: 12 May 2025, 11:18 AM IST Ranita Goswami Ranita Goswami 12 May 2025 Anushka Sharma, Sushmita Sen, Lara Dutta, Priyanka Chopra

অনুষ্কা শর্মা, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া থেকে রকুলপ্রীত সি... more

1/9অনুষ্কা শর্মা, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া থেকে রকুলপ্রীত সিং, এমন বহু ভারতীয় তারকাই রয়েছেন, যাঁদের জন্ম হয়েছে ভারতীয় সেনার পরিবার। যাঁরা তাঁদের ফৌজি পরিবারে জন্ম হওয়া নিয়ে গর্ববোধও করেন। কে কে রয়েছেন, এই তালিকায়? চলুন দেখে নি।

2/9অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মার বাবা কর্নেল অজয় কুমার শর্মা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ছিলেন এবং কার্গিল যুদ্ধে লড়াইতেও ছিলেন তিনি। বাবা সেনাবাহিনীতে থাকার কারণেই দেশের বিভিন্ন শহরে থাকতে হয়েছে অনুষ্কাকে। সেনা জওয়ানের মেয়ে হওয়ার কারণে অনুশাসনের মধ্যে বড় হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি অনুষ্কা একবার ইটাইমসকে বলেছিলেন যে, ‘কার্গিল যুদ্ধের সময়টা ছিল কঠিন। আমি তখন খুব ছোট ছিলাম, কিন্তু আমার মাকে দেখে আমি ভয় পেতাম। মা সারাদিন নিউজ চ্যানেল চালু রাখতেন এবং হতাহতের খবর ঘোষণা করলে মন খারাপ করতেন।’ অনুষ্কা বলেন, তাঁর বাবার সঙ্গে তাঁঁর বন্ধন এখনও দৃঢ়। তিনি গর্বের সাথে বলেন, ‘আমি একজন অভিনেত্রী হওয়ার চেয়েও বেশি গর্বিত যে আমি একজন সেনা অফিসারের মেয়ে।’

3/9অভিনেত্রী রকুল প্রীত সিংও সেনা অফিসার রাজেন্দ্র সিং-এর মেয়ে। আর পাঁচজন সেনার সন্তানের মতোই তাঁকেও বেড়ে ওঠার সময় দেশের বিভিন্ন শহরে স্থানান্তরিত হতে হয়েছে, আর প্রতিবারই তিনি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতেন। সম্প্রতি কার্লি টেলস-এর সঙ্গে কথা বলার সময় রকুল তাঁর বাবার মণিপুর সীমান্তে পোস্টিং হওয়ার কথা স্মরণ করেন। তাঁর পরিবার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে মিজোরামের আইজলে ছিল। রকুলের কথায়, তিনি সেনার পরিবার থেকে এসেছেন, তাই জানেন সীমান্তে বাবা-মা কে হারানো, শহর পরিবর্তন করা এবং নতুন বন্ধু তৈরি করা, অন্য অজানা জায়গায় মানিয়ে নেওয়ার এবং আরও অনেক কিছুর ভয়ে বেঁচে থাকাটা ঠিক কেমন। তাঁর কথায়, এটা বিশেষ করে তাঁর মায়ের জন্য বিশেষভাবে কঠিন ছিল, কারঁণ তিনি প্রায়ই তাঁর বাবার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতেন।

4/9প্রীতি জিন্টার বাবা দুর্গানন্দ জিন্টা ছিলেন একজন সেনা কর্মকর্তা, যিনি মাত্র ১৩ বছর বয়সে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। তাঁর ভাই, দীপঙ্কর জিনতাও ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। প্রীতি বহুবার বলেছেন যে তাঁর বাবা সবসময়ই তাঁকে স্বাধীনচেতা হিসাবে গড়ে তুলছেন। বলিউড শাদিস-কে প্রীতি বলেন, 'একজন ভারতীয় মহিলা প্রথমে তার বাবার উপর নির্ভরশীল, তারপর তার বিয়ের পরে তার স্বামীর উপর এবং পরে তার ছেলের উপর। তবে, প্রীতির বাবা দুর্গানন্দ কখনও চাননি যে তাঁর মেয়ে কারও উপর নির্ভরশীল হন। তিনি চেয়েছিলেন যে তিনি নিজেই যেন নিজের ভাগ্যের মালিক হন।

5/9নিমরত কৌরের বাবা মেজর ভূপিন্দর সিং ছিলেন একজন সেনা কর্মকর্তা, যাঁকে ১৯৯৪ সালে কাশ্মীরে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে এবং হত্যা করে। তখন নিমরত কৌরের বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর। তাঁর বাবার সাহসিকতা নিমরতের জীবনে স্থায়ী চিহ্ন রেখে গেছে। গত বছরের অক্টোবরে, নিমরত ইনস্টাগ্রামে একটি গভীর আবেগঘন পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, ‘আজ বাবার ৭২তম জন্মবার্ষিকী, আমার মা,বোন এবং আমি বাবার নামে একটি স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করেছি যেখানে কেবল তাঁর নয় বরং রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগরের ১২ জন বীর সৈনিকের জাতির জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। ১৯৯৪ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে তাঁকে হারিয়ে ৩০ বছর আগে আমার পরিবার এবং আমি যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, তা অবশেষে বাস্তবায়িত হয়েছে…’।

6/9দিশা পাটানি নিজে কোনও সেনানিবাসে বড় হননি, তবে তাঁর বড় বোন খুশবু পাটানি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে মেজর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অতি সম্প্রতি খুশবু যখন বরেলিতে একটি পরিত্যক্ত শিশুকে উদ্ধার করে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে যান। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়।

7/9লারা দত্তের বাবা, উইং কমান্ডার এল.কে. দত্ত ভারতীয় বিমান বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি ইন্দিরা গান্ধীর ব্যক্তিগত পাইলটও ছিলেন। পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লারা বলেন, ‘তাঁর বাবা তাঁকে(ইন্দিরা গান্ধীকে অনেকবার বিমানে নিয়ে গেছেন, তাঁর বাবাকে ব্যক্তিগতভাবেও চিনতেন। আমি ছোটবেলায় তাঁর (ইন্দিরা) সম্পর্কে গল্প শুনে বড় হয়েছি। তাই, আমি তাঁর সঙ্গে পরোক্ষভাবে ব্যক্তিগত সংযোগ অনুভব করেছি’। প্রসঙ্গত 'বেল বটম' ছবিতে ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেন লারা।

8/9সুস্মিতা সেনের বাবা হলেন উইং কমান্ডার সুবীর সেন, যিনি কিনা ভারতীয় বিমান বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। সুস্মিতা বিমান বাহিনীর স্কুলেই পড়াশোনা করেছেন এবং মিস ইউনিভার্স খেতাব জয়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য তাঁর বাবার লালন-পালনকেই কৃতিত্ব দেন সুস্মিতা। আউটলুককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুস্মিতা বলেন, ‘বাবা অত্যন্ত আধ্যাত্মিক। তিনিই তাঁর তার ’আধ্যাত্মিক' দিক বিকশিত করেছেন। জীবনে অনেকে কিছুই ছেড়ে দিতে শিখিয়েছিলেন। অন্যদিকে, তাঁর মা ভীষণই আক্রমণাত্মক ব্যক্তিত্ব, যিনি ব্যর্থতা কখনও ভয় না পেতে শিখিয়েছিলেন। শান্ত এবং সাহসের এই ভারসাম্যই তাঁকে আজকের শক্তিশালী নারী হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।

9/9প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বেড়ে ওঠাও এক সামরিক পরিবারে। তাঁর বাবা-মা দুজনেই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ডাক্তার ছিলেন। তাঁর বাবা, ডঃ অশোক চোপড়া ছিলেন প্রিয়াঙ্কার জীবনের নায়ক। ২০২০ সালে প্রিয়াঙ্কা তাঁর বিশালাকৃতির সেনাবাহিনীর পোশাক পরে এক শৈশবের ছবি শেয়ার করেছিলেন। ক্যাপশনে লেখেন, "#TBT ছোট্ট প্রিয়াঙ্কাকে। এটি আমার আসন্ন বইয়ের অ্যালবামের একটি ছবি। আমি আমার বাবার সেনাবাহিনীর পোশাক পরে বাড়ির চারপাশে ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসতাম। আমি বড় হয়ে হুবহু তাঁর মতোই হতে চেয়েছিলাম। তিনি ছিলেন আমার আদর্শ।'

পরবর্তী ফটো গ্যালারি

অনুষ্কা শর্মা, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া থেকে রকুলপ্রীত সি... more

Latest News

Latest entertainment News in Bangla

IPL 2025 News in Bangla

Trending Topics

Sections

বাংলার মুখ

ময়দান

ক্রিকেট

ভাগ্যলিপি