দেশের সবচেয়ে চর্চিত সেলেব দম্পতির অন্যতম বিরাট-অনুষ্কা। ওয়ারলির হাইরাইজ 'ওমকার-১৯৭৩'-র টাওয়ার সি'র ৩৪তম তলায় থাকেন বিরুষ্কা, এটাই তাঁদের ভালোবাসার নীড়। আবর সাগরমুখী সেই অ্যাপার্টমেন্টই ওই বহুতলের সবচেয়ে দামি ও বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টটি এই তারকা জুটির। ৭,১৭১ স্কোয়ার ফুট জুরে অবস্থিত এই রাজকীয় বাড়িতে এবার যোগ হচ্ছে নতুন সদস্য, স্বাভাবিকভাবেই মেয়ের আগমনে পালটেছে বাড়ির অন্দরসজ্জাও।
কী নেই বিরাট-অনুষ্কার বাড়িতে? আভিজাত্য আর শৈল্পিক ভাবনায় ভরপুর এই বাড়ি। ভিতরে রয়েছে অত্যাধুনিক জিম, কংক্রিটের ভিড়ে সবুজে মোড়া বাড়ির অন্দরমহল, পোষ্যদের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। আর এবার অ্যানিম্যাল থিমের উপর ভিত্তি করে নতুন একটি নার্সারি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এই বাড়িতে।
এই বহুতল থেকে সোজা চোখ রাখলেই নজরে পড়বে আরব সাগর। গোটা মুম্বই শহরটাই যেন আপনার চোখের বন্দি হয়ে যায় এই বিরুষ্কার বাড়ি থেকে। বাড়ির ভিতর রয়েছে আছে টেনিস কোর্ট থেকে শুরু করে সুইমিং পুল। পার্টির জন্য ব্যাঙ্কোয়েটের সুবন্দোবস্তও রয়েছে।
মুম্বইয়ের এই হাই রাইজ থেকে বাইরের আকাশের ভিউ সত্যি অপূর্ব।বিরুষ্কার বাড়ির ভিতরে সর্বত্রই সবুজের ছোঁয়া। কংক্রিটের জঙ্গলেও প্রকৃতিকে আগলে রেখেছেন এই দম্পতি।
ভোগকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সম্প্রতি অনুষ্কা জানিয়েছেন, সন্তানের জন্য পারফেক্ট নার্সারি সাজাতে বহু সময় ব্যায় করেছেন তিনি। পশুপাখিদের কথা মাথায় রেখে সাজানো এই নার্সারি সম্পর্কে অনুষ্কা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না ছেলে মানেই নীল রঙ, আর মেয়ে মানে গোলাপি রঙ পরতে হবে। নার্সারিতে সব রঙ রয়েছে। আমি আর বিরাট দুজনেই পশুপ্রেমী এবং আমরা চাই আমাদের সন্তানেরও সেই সম্পর্কটা পশুদের সঙ্গে তৈরি হোক। ওঁরা (পোষ্যরা) আমাদের জীবনের অনেক বড় অংশ জুড়ে রয়েছে এবং আমাদের বিশ্বাস ওরা শিশুদের দয়া, করুণার মতো গুণগুলো শেখায়’।
নিজের এই বাড়ি সম্পর্কে নিজের ভাবনার কথা বলতে গিয়ে ESPN-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বিরাট বলেন, ‘আমি চাই না আমার কেরিয়ারের বিন্দু বিসর্গ আমার বাড়িতে ফুটে উঠুক। আমি ওখানে কোনও ট্রফি, নিজের কোনও অ্যাচিভমেন্ট তুলে ধরতে বা প্রদর্শন করতে চাই না যখন আমার সন্তানরা ওই বাড়িতে বড় হবে’।