মায়ের স্বপ্নপূরণ করতে বেশি বয়সে দাদার বিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। আর পাঁচজন মানুষের মতো শারীরিক ও মানসিকভাবে স্বাভাবিক নয় অপরাজিতার দাদা। আর তাই মায়ের পছন্দ করে রেখে যাওয়া পাত্রী রানীদিদির সঙ্গে দাদার বিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। যে রানীদিদি তাঁর মাকে শেষপর্যন্ত আগলে রেখেছিলেন, দাদাকেও আগলে রেখেছেন, সেই রানীদিদিকেই বউদি করে বাড়িতে এনেছেন অপরাজিতা।
২৬ অগস্ট জন্মাষ্টমীর দিনই আবার ছিল অভিনেত্রীর নতুন বউদির জন্মদিন। বিয়ের পর প্রথম জন্মদিন। আর সেদিন অপরাজিতা আঢ্য উপস্থিত থাকবেন না তাও কি হয়! দাদাকে পাশে রেখে বউমনির জন্য কেক নিয়ে হাওড়ার বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন অপরাজিতা। পরিবারের সকলকে নিয়ে কেক কাটার পাশপাশি এদিন দাদা-বউদির জন্য জন্মাষ্টমী সেলিব্রেটও করেন অভিনেত্রী। নিজের হাতে সেদিন রাধা-কৃষ্ণকে সাজিয়ে দেন অপরাজিতা। রং দিয়ে আলপনাও আঁকেন। সেই সেলিব্রেশনের কিছু ঝলক সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। সঙ্গে নিজের বাড়ির লক্ষ্মী ঠাকুরের ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।
অপরাজিতা আঢ্য লিখেছেন, ‘গোপালের জন্মদিন আর আমার রানী বৌমনির এক দিনেই জন্মদিন সে জন্যই তো আমার মা কত বছর আগে গোপালকে রানী দিদির কাছেই দিয়ে গিয়েছিল। জানত ওদের দুজনের যেহেতু জন্মদিন একদিনে তাই গোপালকে রানীদিদি সব থেকে ভালো রাখবে। আজ গোপাল আর রানি দিদির জন্মদিন একসঙ্গে পালিত হলো। গোপালের জন্মদিনে আমাদের মা লক্ষ্মীর মনে হয়েছে যে আমার বরের জন্মদিন নিয়ে এত মাতামাতি হচ্ছে অথচ আমার ছবি নেই কেন তাই আমি দেখলাম হঠাৎ করে আমাদের মা লক্ষ্মীর ছবিটা। যেটা যেটা লাস্ট লক্ষ্মীপূজায় তোলা হয়েছে সেটা কিভাবে গোপালের ছবির পরেই চলে নিজে নিজে চলে এসেছে তাই সেই ছবিটা আমি পোস্ট করে দিলাম। তাহলে আর কারোর মান অভিমান থাকবে না। জয় মা লক্ষ্মী।’
এর আগে অপরাজিতা জানিয়েছিলেন, তিনি নিজে অবশ্য জন্মাষ্টমী পালন করেন না। কারণ তিনি শাক্ত। তাই শিবপুজো করেন। গুরুদেবের থেকে শিব সেবার দীক্ষা নিয়েছেন। আর তাই তাঁর বাড়িতে কৃষ্ণপুজো হয় না। তবে তাঁক মায়ের বাড়িতে, মানে হাওড়ার বাড়িতে জন্মাষ্টমী পালন হবে বলেও জানিয়েছিলেন অপরাজিতা। বলেছিলেন, এবার তাঁর দাদা আর নতুন বউদিই জন্মাষ্টমী পালন করেবেন। তিনিও সেখানে উপস্থিত থাকবেন। আর সেই মতোই হাওড়ার বাড়িতে গিয়ে জন্মাষ্টমী পালন করতে দেখা গেল অপরাজিতাকে, সঙ্গে হল নতুন বউদিন জন্মদিন পালন।