সেলিব্রেশন যেন থামছে না! গত সপ্তাহেই দাদার বিয়ে দিয়েছেন। নতুন বৌদি এসছে ঘরে, এর মাঝেই নিজের জীবনের বিশেষ দিনের উদযাপনে মাতলেন অপরাজিতা আঢ্য। দেখতে দেখতে বিবাহিত জীবনের ২৭ বছর পার করে ফেললেন অপরাজিতা-অতনু। টলিউডের এই দম্পতি সত্যিই সবার থেকে আলাদা।
মাত্র ১৮ বছর বয়সে একমাসের আলাপে অতনুর সঙ্গে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন অপরাজিতা। তারপর থেকে সুখে-দুঃখে সর্বদা পরস্পরকে আগলে থেকেছেন তাঁরা। বিয়ের ২৭টি বসন্ত পার করে স্বামীর জন্য কী বার্তা অপরাজিতার? সোশ্যাল মিডিয়ায় আদুরে উদযাপনের ছবি ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। ৫ নম্বর স্বপ্নময় লেনের শ্য়ুটিং-এর ব্যস্ততার ফাঁকেই চলল ঘরোয়া উদযাপন।
ইনস্টাগ্রামে সেলিব্রেশনের ভিডিয়ো শেয়ার করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘এই বেশ ভালো আছি। আর মজার ব্যাপার হলো আমি জীবনের সাতাশটি বসন্ত পেরোনোর পর, আমার দাদা এই প্রথম বসন্তের দিকে পা বাড়ালো। অদ্ভুত ভাবে দাদার বিবাহের দিন ২রা আগস্ট, আমার ৮, এবং আরও একটা মজার ব্যাপার হলো বাবা ১৫ই আগস্টের দিন পরাধীনতা বরণ করে মা-কে বিবাহ করেন; আর অগত্যা একজন মানুষ স্বাধীনতা দিবসের দিন পরাধীন হন’।
ভিডিয়োতে অপরাজিতাকে বলতে শোনা গেল, ‘আপনারা আর্শীবাদ করুন যাতে ঈশ্বর আমাদের আরও ভালোবাসুক, যাতে আরও অনেকটা পথ একসঙ্গে চলতে পারি।’ এরপরই সোহাগ করে বরকে ঠেলা মেরে বলে উঠেন, ‘কী গো বলো…’। এরপর রবীন্দ্রনাথের গানেই বরের প্রতি ভালোবাসা জাহির করলেন। গেয়ে শোনালেন, ‘কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া… তোমারই চরণে দিব হৃদয় খুলিয়া…’।
কিছুদিন আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অপরাজিতা আঢ্য জানান, অতনুর কাছ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে নয় বরং হবু শ্বশুরবাড়িতে প্রথমবার পা রেখেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলেন তিনি। নেপথ্য অতনুর মা। অপরাজিতা জানিয়েছেন, ‘এই বাড়িতে (শ্বশুরবাড়ি) এসে আমি আরাম পেয়েছি। শান্তি দিয়েছে। এই বাড়ির মানুষগুলো আমাকে সব ঝড়-ঝাপটা থেকে আগলে রেখেছে’।
আরও পড়ুন-শাশুড়িকে আদুরে চুমু, বিয়ে বাড়ি মিটতেই সুখবর দিলেন অপরাজিতা আঢ্য
অতনুর চেয়ে বসয়ে অনেকটা ছোট অপরাজিতা আঢ্য। দুজনের বয়সের ফারাক প্রায় ১৪ বছরের। তবে ভালোবাসায় পরস্পরকে বেঁধে রেখেছেন তাঁরা। এমনকী তাঁদের নিঃসন্তান হওয়ার যন্ত্রণা কখনও বড় হয়ে দাঁড়ায়নি এই ভালোবাসার সামনে।
শাশুড়ি মা বিয়ের আগে অপরাজিতাকে বলেছিলেন, ‘তুমি রাজরানি হওয়ার যোগ্য। তুমি এত সুন্দর, আমার ছেলেকে কিন্তু বিয়ে করো না। আমরা ছেলে তোমার চেয়ে বয়সে অনেক বড়….আমরা মধ্যবিত্ত পরিবার। একতলা বাড়ি….’। ওইদিনই অপরাজিতা বুঝে গিয়েছিলেন, জীবনে কিছু করতে চাইলে তার একমাত্র রাস্তা এই বাড়ি। দেরি করেননি। এক মাসের মধ্যেই নিজের মায়ের অমতে গিয়ে অতনুকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। আজও অটুট সেই বন্ধন।