নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দাদার বিয়ে দিয়েছেন অপরাজিতা আঢ্য। নতুন করে আবারও সোশ্যাল মিডিয়ার মন জয় করে নিলেন অভিনেত্রী। কাজের শত ব্যস্ততার মাঝেও, পরিবারের পাশে তিনি আছে সবসময়। পরিবার যে তাঁর গর্ব, সেকথা শতবার বলেও ক্লান্ত হন না। হাওড়ার বাড়িতেই সব আয়োজন করা হয়েছিল।
মানসিক ও শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ অপরাজিতার দাদা। কিন্তু যত অসুস্থতাই হোক, কাছের মানুষ আগলে রাখলে ভালো থাকা যায়। অভিনেত্রীর বউদির নাম রানী। দীর্ঘসময় এই পরিবারের সঙ্গে যুক্ত তিনি। অভিনেত্রীর মা-দাদার খেয়াল রেখেছেন। এমনকী, অভিনেত্রীর মা আর দিদা এই মেয়েকেই বেছে রেখেছিলেন পাত্রী হিসবে। কিন্তু নানা অসুবিধে থাকায় বিয়েটা এতদিন হয়ে ওঠেনি। তবে এবার হল, আর বেশ ঘটা করেই হল।
আরও পড়ুন: চোখ ধাঁধানো অন্দরসাজ, ইয়াবড় ল্যাম্প! বিক্রি কঙ্গনার ৪০ কোটির বাংলো, ঘুরে দেখুন
শুধু আইনি সই-সাবুদ নয়, একেবারে কন্যা সম্প্রদান করে, আগুনের চারপাশে ঘুরে বিয়ে করেন পাত্র-পাত্রী। কনের গায়ে ছিল সবুজ-গোলাপি বেনারসি। মাথায় ওড়না। অপরাজিতার দাদাও পাঞ্জাবি আর জোর পরে বসেছিলেন ছাদনাতলাতে।
রবিবার ছিল ঘরোয়া বউভাত। সেই ছবিও শেয়ার করলেন অপরাজিতা সোশ্যাল মিডিয়াতে। সঙ্গে এই বিয়ের সঙ্গে পরতে পরতে জড়িয়ে থাকা গুরুত্বপূর্ণ মানুষগুলির সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দেন। সবুজ শাড়িতে দেখা গেল অভিনেত্রীর নতুন বউদিকে। চোখমুখে আনন্দ-হাসি। গা ভরা সোনারগয়না। মাথায় টিকলি, নাকে নথ, মাথার খোঁপায় গোলাপ ফুল।
আরও পড়ুন: ৫৬-তেও বিকিনি! খোলামেলা পোশাক নিয়ে ট্রোলে মুখ খুললেন অমর্ত্য-কন্যা অভিনেত্রী নন্দনা
ফুল সাজানো খাটেরও একটি ছবি দিয়েছেন তিনি। এদিন সোনালি শাড়ি আর লালব্লাউজে তিনি সাজিয়েছিলেন নিজেকে। ছিলেন অপরাজিতার পালিতা কন্যাও। নীল রঙের চিকনকারি কুর্তায় দেখা গেল গার্গীকে। ছিলেন অতনু হাজরাও। একটি ভিডিয়োতে দেখা গেল দাদা-বউদিকে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে অপরাজিতা নিজের গলায় গাইছেন, ‘ভালোবাসা মোরে ভিখারি করেছে, তোমাকে করেছে রানী’।
আরও পড়ুন: বয়সে বড় মডেলকে ডেট আরিয়ানের, রবিবার হল দেখা, প্রেমিকার থেকে কত ছোট শাহরুখ পুত্র
এক নেট-নাগরিক অপরাজিতার এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন, ‘কী যে ভালো লাগল। আপনি একজন পজিটিভ মানুষ। তাই যেখানেই থাকেন সেখানেই একটা সুন্দর ইতিবাচক পরিবেশ এর সৃষ্টি হয়, তা সে আপনি সশরীরেই থাকুন অথবা ফেসবুকে। আপনাকে দেখলে আপনার কথা শুনলেই একটা জীবনীশক্তি কাজ করে। খুব ভালো থাকুন অপরাজিতা ম্যাম দাদা, বৌদি ও আত্মীয় পরিজন নিয়ে।’
আরেকজন লেখেন, ‘এতো ভালো লাগছে যে লেখার সেই সঠিক শব্দবন্ধন পাচ্ছি না। দেখতে দেখতে অনুভব করলাম যে আমি একা, অথচ আমার মুখ ভর্তি হাসি। সত্যিই আপনি যেমন মিষ্টি হাসি মুখখানি দিয়ে মন ভরিয়ে দেন তেমনই আপনার কাজ। কতকিছু শেখার আছে আপনার থেকে। অনেক ভালোবাসা জানবেন। আর নতুন পথচলার অনেক শুভকামনা রইলো দাদা ও রানী দিদির জন্য। সকলকে নিয়ে আপনারা সকলে খুব খুব ভালো থাকুন।’