অনেক বেশি বয়সে মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে দাদার বিয়ে দিলেন অপরাজিতা আঢ্য। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সবটা করেন। সেটারই ঝলক এদিন প্রকাশ্যে আনলেন অভিনেত্রী। দাদার বৌভাতে কী কী আয়োজন হয়েছিল সেটাই এদিন ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনের ভ্রুকুটি সিনেমাতেও! উত্তাল বাংলাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত পদাতিকের মুক্তি
কী পোস্ট করলেন অপরাজিতা?
অপরাজিতা এদিন তাঁর দাদার বৌভাতের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে তাঁর নতুন বৌদি সবার পা ছুঁয়ে প্রণাম করছেন। পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে সবটা বলে বলে দিচ্ছেন অভিনেত্রী। এমনকি নিজেই দাদা বৌদির বৌভাতের থালা সাজিয়ে এনে দাদাকে দিয়েছেন। পালন করিয়েছেন সব নিয়ম। বাদ যায়নি আধুনিক নিয়ম মেনে কেক কাটাও।
এদিন দাদা বৌদির রিসেপশন উপলক্ষ্যে অভিনেত্রীকে বৌদিকে একটি পায়ের তোরা উপহার দিতে দেখা যায়। তিনি নিজেই সেটা বৌদির পায়ে পরিয়ে দেন। এই ভিডিয়ো পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন, 'এটা দাদা আর রানী দিদি থুড়ি, বৌদির গল্প।'
আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কা নয়, 'কাছের মানুষ'-এর সঙ্গে ফের ধরা দিলেন রাহুল! রুকমাকে পাশে নিয়ে লিখলেন কী?
কেন এত বয়সে দাদার বিয়ে দিলেন অপরাজিতা আঢ্য?
এক বিষয়ে তিনি দাদার বিয়ে দিয়েই একটি লম্বা পোস্ট করেছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন, 'মা এটা তোমার গল্প। যতদিন বেঁচেছ কোনদিন ভালো করে আরাম করে বাঁচতে পারনি। সব সময় ভয় তাড়া করত তোমায়। তোমার ছেলের কি হবে, তোমার ছেলে আর পাঁচ জন মানুষের মত স্বাভাবিক নয়। অত্যন্ত সরল আর সব ছেলের থেকে কিছুটা হলেও আলাদা। কি হবে তোমার ছেলেটার যদিও তোমার মেয়ে আছে, সে সব দায়িত্ব কর্তব্য করতে পারে কিন্তু তবুও তোমার কোথায় একটা ভয়, কোথায় একটা শঙ্কা, একটা অবিশ্বাস কাজ করত। তুমি না থাকলে ছেলে কি করে বাঁচবে, ছেলে কি করে থাকবে, তুমি কখনও একা থাকাতে বিশ্বাসী ছিলে না, তুমি অসম্ভব বিয়েতে বিশ্বাসী ছিলে। তুমি সব সময় মনে করতে একা বাঁচা যায় না। যদিও আমরা সকলে পৃথিবীতে একাই আসি আর একাই যাই। তবু এই পৃথিবী লোকে বাঁচার জন্য বোধহয় একজন সঙ্গীর খুব দরকার। তুমি সারাক্ষণ সবাইকে বলতে আমার ছেলের কি করে বিয়ে হবে, আমার ছেলেকে কে বিয়ে করবে, আমার ছেলেকে কে বিয়ে দেবে? তোমার পছন্দ করা পাত্রী রানী দিদি। কিন্তু সেই সময় রানী দিদির সঙ্গে বিয়ে দেওয়াটা সম্ভব হয়নি আসলে সময়ের আগে কিছুই হয় না। আজকে তো তুমি শরীরের নামক খাঁচায় বাঁধা নেই। সারা বিশ্বব্যাপী সারা অন্তরীক্ষ সর্বত্র তুমি বিরাজমান। তুমি পরমাত্মার সঙ্গে লীন হয়ে গেছ এবং তুমি দেখছ আজকে দাঁড়িয়ে তোমার মৃত্যুর এক বছর ৮ মাস পর তোমার ছেলে আজ বিবাহিত। তুমি আজকে হয়তো আনন্দে আনন্দলোকে লীন হয়ে গেছ, আজ বোধহয় তুমি সব থেকে বেশি শান্তি পেয়েছ যে তোমার ছেলে বিবাহিত এবং তোমার পছন্দ করা পাত্রী তোমার পুত্রবধূ। আর আমার শান্তি আমি আমার সবটুকু দায়িত্ব যা যা তোমাকে বলেছিলাম। সবটা পালন করতে পারলাম।'