প্রাণখুলে জীবন বাঁচতে ভালোবাসেন অপরাজিতা আঢ্য। তাঁর কাছে জীবন মানে মুহূর্তে বাঁচা। প্রতিটা মুহূর্তের স্বাদ চেটেপুটে নেন অভিনেত্রী। কাজের বাইরে নিজের প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটাতেই ভালোবাসেন ছোটপর্দার লক্ষ্মীকাকিমা। আর শত ব্যস্ততার মধ্যেও কাছের মানুষদের জন্য সময়বার করতে ভোলেন না তিনি। আরও পড়ুন-মাতৃবিয়োগ ঋতুপর্ণার! ১৫ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর থামল যুদ্ধ, মা-কে হারিয়ে শোকস্তব্ধ নায়িকা
অপরাজিতা আঢ্য শনিবার নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে এই মিষ্টি ছবি শেয়ার করেন। সেখানে লাল শাড়ি পরা এক সুন্দরীর ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়ালেন অভিনেত্রী। ছবিতে অপরাজিতার সঙ্গে যাঁকে দেখা যাচ্ছে তিনি তাঁর বান্ধবী মালা সেন। পেশায় নৃত্যশিল্পী। অপরাজিতা আঢ্যর সঙ্গে নাচের ভিডিয়োতে দেখা মেলে তাঁর।
শুক্রবার ছিল বান্ধবীর জন্মদিন। সেই পার্টির মধ্যমণি হয়ে ওঠেন অপরাজিতা আঢ্য। নাচে-গানে-হুল্লোড়ে জমে উঠেছিল আসর। আর সুযোগ বুঝে বন্ধুকে চুমু খাওয়ার মুহূর্ত লেন্সবন্দি করে ফেলেন অপরাজিতা আঢ্য। ছবির ক্যাপশনে লিখলেন, ‘প্রত্যেক চুমুর আলাদা আলাদা আবেগ আছে’। এই ছবির কমেন্ট বক্সে অনেকেই লিখেছেন, ‘তোমাদের বন্ধুত্ব অটুট থাকুক’। তবে অনেকের চোখেই এটি কুরুচিকর ঠেকেছে। তাই ধেয়ে এসেছে, ‘ছি! এসব কী’র মতো মন্তব্যও।
ট্রোলিং নিয়ে কোনওদিনই বিশেষ ভাবিত নন অপরাজিতা আঢ্য। এবারও তাই পালটা জবাব দেননি। শহরের এক ক্লাবে বসেছিল বার্থে পার্টি। ওয়াইন রঙা ককটেল ড্রেসে ধরা দিলেন অপরাজিতা আঢ্য। বন্ধুর জন্মদিনে ‘ডাকাতিয়া বাঁশি’র সুরে কোমর দোলালেন অভিনেত্রী। বন্ধুর জন্মদিনটা হইচই আর দেদার খানাপিনার সঙ্গেই কাটল, যা স্পষ্ট এই ভিডিয়োতে।
সেলেব বন্ধুর থেকে জন্মদিনের আদুরে শুভেচ্ছা পেয়ে আপ্লুত মালা দেবী। নিজেদের বন্ধুত্বের কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে তুলে ধরেন তিনি। লেখেন, 'কী বলব ভেবে পাচ্ছি না। তোর সম্পর্কে যা বলব সবই কম পরবে। নাচের সূত্রে ভাগ্যিস দেখা হয়েছিল। তুই একটা কথা বলিস গুরু শিষ্য কে খুঁজে বার করে, এটা প্রমাণিত। মৌটুসিদের বাড়িতে প্রথম দেখা। তার পর তুই আমার বাড়ি খুঁজে বার করে বার বার আসে ফিরে গেছিস আমায় বাড়ি না পেয়ে। এমন টান ছিল বলেই আজ আমরা একসাথে। এমন আন্তরিকতা ছেড়ে যাই কোথা?
একটা সময় অনেকে আমার নামে অনেক কথা বলেও তোকে আমার কাছ থেকে দূরে করতে পারেনি। ভয় হয়েছিল যদি ভুল বুঝিস । এমন ভালবাসা যেনো থেকে যায়। তোর বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার ট্রিট টা বাকি আছে। যাবো কিন্তু একসাথে। মুম্বাই এর মতো। ওই একটা দিনের মতো। অনেক ভালবাসা।'