এমনিতেই ‘পরকীয়া’ এমন একটা শব্দ, যা নিয়ে সমাজের সব স্তরেই রয়ছে বিশেষ রাখঢাক। একটি সম্পর্কে থেকে, বিশেষ করে বিবাহিত জীবনে স্বামী বা স্ত্রীকে লুকিয়ে অন্য আরেক সঙ্গীর সঙ্গে ভালোবাসার বা শারীরিক সম্পর্ককেই পরকীয়া হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। তবে এই পরকীয়া-কেই ‘জীবনের অঙ্গ’ বলে বসলেন অপরাজিতা একটি অনুষ্ঠানে। আর সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই, অভিনেত্রীকে রীতিমতো তুলোধনা করেছে নেটিজেনরা।
স্টেজে সঞ্চালক তাঁকে ‘পরকীয়া’ নিয়ে প্রশ্ন করলে, অপরাজিতা বলতে শুরু করেন, ‘দেখো পরকীয়া হচ্ছে চিরকালের শাশ্বত। পরকীয়া থাকবেই। পরকীয়া যদি না থাকে, তাহলে সব রাধাগোবিন্দের মন্দির ভেঙে দাও।’
এখানেই থেমে থাকলেন না তিনি। বেশ হাসি হাসি মুখ করেই, আয়েস করে অভিনত্রী আরও বললেন, ‘সুতরাং শ্রীকৃষ্ণকে যখন আমরা পুজো করি। রাধাকে যখন আমরা পুজো করি তখন বুঝতে হবে পরকীয়া আমাদের জীবনের অঙ্গ। এটা থাকবেই।’
আরও পড়ুন: ‘কিউ কি তুম ধরকন…’! ক্রিকেটার থেকে গায়ক, জাভেদ আলির সঙ্গে গলা মিলিয়ে গাইলেন সৌরভ
নেটিজেনদের একেবারে ভালো লাগেনি যে এই কথা, তা স্পষ্ট এই ভিডিয়ো পোস্টের কমেন্ট সেকশন থেকেই। এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘বেশিভাগ পুরুষরা সমর্থন করলেও নারীরা কিন্তু করবে না। এই কম বার্তা সমাজে কখনো দেবেন না। রাধা-কৃষ্ণ সম্পর্কে না জেনে ভুল ভাল মন্তব্য করবেন না’। আরেকজন আবার লিখেছেন, ‘হিন্দু ধর্মকে আপনি অপমান করছেন ম্যাডাম’।
আরও পড়ুন: ‘অপেক্ষা করতে পারছে না, অসৎ পথ নিয়ে…’! সারেগামাপা-জয়ী উজ্জয়নীর জন্য ফের ফেসবুকে সওয়াল লগ্নজিতার
তৃতীয়জন লিখলেন, ‘রাধা-গোবিন্দ মানে আমাদের আরাধ্য, তাঁদেরকে নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য আপনি করবেন না। যেই সম্পর্কে আপনার ধারণা নেই সেই সম্পর্কে প্লিজ আপনি কথা বলবেন না। আমাদের আরাধ্য ঠাকুর শ্রীকৃষ্ণ কখনোই পরকীয়া সম্বন্ধে জড়িত ছিলেন না। রাধে রাধে।’
অপর আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘শ্রী কৃষ্ণ পরকীয়া করেছিলেন, এই দুর্বুদ্ধি আপনাকে কে দিল? তিনি যে মহারাস করেছিলেন, তা সম্পূর্ণ নৈস্বর্গিক। ভগবানের সঙ্গে ভক্তের একাত্মতা হওয়ার এক চরম নিদর্শন। এই বিষয়ে ফেসবুকে মন্তব্য না করাই ভালো। যদি সাক্ষাৎ সম্ভব হতো তবে এই বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা সম্ভব হত। আরো একটি কথা, মনে করুন আপনার কথাই সত্য। তাহলে আপনার বক্তব্যের যুক্তি দাঁড়াচ্ছে, ভগবান যা করেছেন আপনি ও তাই করবেন। তবে পারবেন কি মহাদেব শিবের মতো পরহিতার্থে সুতীব্র বিষ পান করে নীলকন্ঠ হতে?’