স্টার জলসায় দিন কয়েক আগেই শুরু হয়েছে ‘চিরসখা’। না-বলা সম্পর্কের কথা উঠে আসছে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের এই মেগা-তে। শুরু থেকেই এই সিরিয়াল নিয়ে কটাক্ষের শেষ নেই, প্রথম সপ্তাহে টিআরপি তালিকাতেও সে-ভাবে দাগ কাটেনি অপরাজিতা ঘোষ দাসের কামব্যাক মেগা। বরং মিত্তির বাড়ির কাছে স্লট হারিয়েছে জলসা। আরও পড়ুন-স্বামী-স্ত্রী থেকে সোজা মা-ছেলে অপরাজিতা-রাজা! চিরসখার কাস্টিং নিয়ে কটাক্ষের জবাব অভিনেতার
কমলিনীর শাশুড়ির সেকেলে ধ্যান-ধারণায় বিরক্ত অনেকেই। কেউ আবার এই সিরিয়ালকে ‘মান্ধাতার আমলের’ বলে দাবি করেছেন। কারুর চোখে চিরসখা হল ‘শ্রীময়ী পার্ট ২’। সেখানে শুধু রোহিত সেনের জায়গা নিয়েছে অনিন্দ্যদা (সুদীপ মুখোপাধ্য়ায়)। কেউ কেউ আবার রাজা গোস্বামী, ভিভান ঘোষের মতো অভিনেতাদের অপরাজিতার ছেলের চরিত্রে মোটেই হজম করতে পারছেন না। বিশেষত, এর আগে ‘কোজাগরী’তে স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে দর্শক দেখেছে অপরাজিতা-রাজাকে।
এইসব বিদ্রুপ নজর এড়ায়নি অপরাজিতারও। শ্রীময়ীর সঙ্গে চিরসখার তুলনা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী এইসময়কে বলেন, নেটিজেনদের এই ধারণা ভিত্তিহীন। কারণ দুটি সিরিয়ালের মুখ্য চরিত্রের বয়সটা সমান, মিল বলতে শুধু এইটুকুই। মধ্যবয়স্কা এক নারীর লড়াই দুই গল্পের উপজীব্য। অপরাজিতার পালটা প্রশ্ন, ‘২০-২১ বছর বয়সীদের নিয়ে যে ধারাবাহিক তৈরি হয়, সেই ক্ষেত্রে সেগুলোকে কার পার্ট টু বলা হবে?’
২০১৬ সালে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সিরিয়ালেই ঝুমুর আর সাহেবের চরিত্রে দর্শক পেয়েছিল অপরাজিতা-রাজা জুটি। ৯ বছরের ব্যবধানে কি তবে এতটাই বুড়ি হয়ে গেলেন অপরাজিতা যে রাজার মায়ের চরিত্রে কাস্ট করা হবে তাঁকে? দর্শকদের এই ভাবনা নিয়ে অপরাজিতা স্পষ্ট জানান, তাঁরা অভিনেতা-অভিনেত্রী। পর্দায় কে তাঁর বয়ফ্রেন্ড, কে স্বামী বা কে বাবা, সেই নিয়ে তাঁর মাথাব্যাথা নেই। তাঁর প্রশ্ন, ‘যদি কারও সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করিও, তার মানে কি আমার সহ-অভিনেতার আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল? এই পুরো বিষয়টাই তো অবাস্তব।’ শাহরুখ-ঐশ্বর্যর উদাহরণ টেনে তিনি মনে করান দুই তারকা জোশ ছবিতে ভাইবোনের চরিত্রে ছিলেন, পরে মহব্বতেঁ ছবিতে নায়ক-নায়িকা। অপরাজিতা খানিক ক্ষোভের সুরেই বললেন, ‘এটা কি কোনওভাবে এজ শেমিং করা হচ্ছে?…..বেশি বয়সের পাঠ করা কি লজ্জাজনক বিষয়?’
লোকে যাই বলুক না কেন, অপরাজিতার স্বামী তথা অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীর থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে অভিনেত্রী। তাঁরা বরাবরই পরস্পরের কাজের সবচেয়ে বড় ক্রিটিক। অপরাজিতার ছেলের চরিত্রে অভিনয় নিয়ে কোনওরকম ছুৎমার্গ নেই রাজাও। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অভিনেতা জানিয়েছেন, 'এটাই তো চরিত্র হয়ে ওঠা। আমরা কোজাগরীতে হিরো-হিরোইন ছিলাম, দর্শক ভালোবাসা দিয়েছিল। ওটা বিশাল সফল একটা প্রোজেক্ট ছিল, আমরা চরিত্রগুলোর সঙ্গে সুবিচার করেছিলাম। আমার বিশ্বাস মা-ছেলে হিসাবেও আমরা একইরকম সুবিচার করব’।