সালটা ১৯৫৯। মে মাসের এই প্রথম দিনটাতেই ভারতবাসী মূলত বাঙালিদের কাছে খুলে গিয়েছিল অপুর দুনিয়ার সাদা কালো হয়েও রঙিন শেষ অধ্যায়ের পাতা। মুক্তি পায় অপু ট্রিলজির শেষ ভাগ তথা অপুর সংসার। দেখতে দেখতে সেই ছবিটির মুক্তির ৬৫ বছর পেরিয়ে গেল। বয়সের নিরিখে এই ছবি এখন প্রৌঢ়। কিন্তু আদতে এই ছবি চিরকালের।
আরও পড়ুন: বড় ছেলের মৃত্যুর কথা মনে পড়তেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন শেখর, স্মৃতি হাতড়ে বললেন, 'গোটা রাত ওর দেহ আঁকড়ে...'
১৯৫৯ সালের ১ মে সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনের ঠিক এক দিন আগে মুক্তি পায় এই ছবিটি। সেই বছর ৩৮ বছরে পা দেন অস্কারজয়ী পরিচালক। তারপর আর কি ধীরে ধীরে কালজয়ী হয়ে ওঠে ছবির সংলাপ থেকে মুহূর্ত, দৃশ্য।
আরও পড়ুন: 'ও আমায় কাছে টেনে নিয়েছে...' কল্যাণের অপমান অতীত, দেবের ডাকে সাড়া দিয়ে ঘাটালে প্রচার সারলেন কাঞ্চন
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারে প্যারোডির গুঁতো! জুনের পর এবার অগ্নিমিত্রা, মমতাকে 'হীরক রানি' আখ্যা দিয়ে গাইলেন কোন গান?
মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং শর্মিলা ঠাকুর। অপর্ণার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল শর্মিলা ঠাকুরকে। অন্যদিকে অপু হয়ে ধরা দেন সৌমিত্র।
এই ছবির হাত ধরেই বিনোদন জগতে পা রেখেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। আর সেই প্রথম ছবিতেই তিনি ৫০০০ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। সঙ্গে উপহার হিসেবে সত্যজিৎ তাঁকে একটি শাড়ি এবং একটি ঘড়িও উপহার দিয়েছিলেন। অভিনেত্রী পরবর্তীতে জানিয়েছিলেন তিনি তাঁর এই প্রথম পারিশ্রমিক দিয়ে সোনার নেকলেস, কানের আর চুরি কিনেছিলেন।
আরও পড়ুন: 'ওয়াদা' করে ভুলে যান 'ধোঁকেবাজ' মোদী! বিজেপিকে ভোট নয়, বার্তা দিয়ে প্রচারের ফাঁকে প্যারোডি গাইলেন জুন
আরও পড়ুন: বরের পর এবার স্ত্রীর পালা! আসন্ন স্পাই থ্রিলারে আলিয়ার সঙ্গে দুর্ধর্ষ অ্যাকশনে ভিড়বেন ববি
বর্তমানে এই কালজয়ী ছবিটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এইচবিও ম্যাক্সে দেখা যায় এই ছবিটি। প্রসঙ্গত বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপরাজিত উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি করা হয়। এবং এটি সত্যজিৎ রায় নির্মিত অপু ট্রিলজির শেষ ভাগ। এর আগের দুটি ভাগ হল পথের পাঁচালি এবং অপরাজিত।