বিচ্ছেদ ঘোষণা করার পরও পুনর্মিলনের সুযোগ আছে সায়রা রহমানের, মত আইনজীবীর! ৩ সন্তানের কাস্টোডি পাচ্ছেন কে?

Rahman-Saira: ডিভোর্সের কথা ঘোষণা করেছেন এ আর রহমান এবং সায়রা বানু। দীর্ঘ প্রায় তিন দশকের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘোষণা করতেই চর্চায় অস্কারজয়ী গায়ক। এবার সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তাঁদের আইনজীবী জানিয়েছেন যে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করলেও, তাঁদের পুনর্মিলন হতেই পারে। অর্থাৎ সেই সম্ভাবনা আছে।

কিছুদিন আগেই ডিভোর্সের কথা ঘোষণা করেছেন এ আর রহমান এবং সায়রা বানু। দীর্ঘ প্রায় তিন দশকের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘোষণা করতেই চর্চায় অস্কারজয়ী গায়ক। এবার সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তাঁদের আইনজীবী জানিয়েছেন যে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করলেও, তাঁদের পুনর্মিলন হতেই পারে। অর্থাৎ সেই সম্ভাবনা আছে।

কী জানিয়েছেন রহমান এবং সায়রার ডিভোর্সের আইনজীবী?

সম্প্রতি এ আর রহমান এবং সায়রা বানুর বিবাহ বিচ্ছেদের কেস যে আইনজীবী দেখছেন রুবি ভিকি লালওয়ানিকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। হাজির হয়েছিলেন তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের শোয়ের পর্বে। সেখানেই আইনজীবী বন্দনা জানিয়েছেন বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা হলেও, পুনর্মিলনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমি কখনই বলিনি যে পুনর্মিলন সম্ভব না। আমি খুবই ইতিবাচক ভাবনা দেখি। আমি সবসময়ই প্রেম এবং রোম্যান্সের কথা বলি। ওরা যে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন সেটা বেশ স্পষ্ট। সেখানে যন্ত্রণা এবং বিচ্ছেদের কথা আছে। ওদের বিয়েটা দীর্ঘদিনের, অনেক কিছুর মধ্যে দিয়ে গিয়েছে বিয়েটা। আর সেখান থেকেই এই সিদ্ধান্ত এসেছে। কিন্তু আমি কখনই বলিনি যে পুনর্মিলন সম্ভব না।'

রহমান এবং সায়রার সন্তানদের কাস্টোডি কে পাবেন?

এ আর রহমান এবং সায়রা বানুর তিন সন্তান আছে, খাতিজা, রহিমা এবং আমিন। এই ৩ জন কে কার সঙ্গে থাকবেন অর্থাৎ তাঁদের মা নাকি বাবার সঙ্গে সেই প্রসঙ্গেও এদিন কথা বলেন বন্দনা। তিনি জানান, 'ওদের মধ্যে কেউ কেউ পুনর্বয়স্ক। ওরা কার সঙ্গে থাকবে সেটা ওরা নিজেরাই বেছে নিতে পারবে স্বাধীন ভাবে।' কিন্তু এই ডিভোর্সের পর কি সায়রা বানু আদৌ কোনও খোরপোষ নেবেন? এই বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে এটুকু জানিয়েছেন যে সায়রা অর্থলোভী নন। সাদামাটা জীবন কাটাতে তিনি স্বচ্ছন্দ।

প্রসঙ্গত গত ১৯ নভেম্বর রহমান এবং সায়রা বানুর উকিল ওঁদের তরফে যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে তাঁরা তাঁদের ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনে ইতি টানতে চলেছেন। বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন।