সম্প্রতি স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কোনও প্রভাব কাজে প্রতিফলিত হয়নি। কয়েক দশক ধরে শ্রোতারা তাঁর সুরের যাদুতে মুগ্ধ। কিন্তু এই রহমানের কেরিয়ারের শুরুটা খুব একটা মসৃণ ছিল না। সুরকারের পরিবার আর্থিকভাবে খুব একটা স্বচ্ছল ছিল না। তাই সংসারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে অল্প বয়স থেকেই কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি ও ২ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুরকার তাঁর সেই কঠিন সময়ের কথা ভাগ করে নিয়েছেন। ওই সাক্ষাৎকারেই তিনি একজন মাতাল গিটারিস্ট কথা উল্লেখ্য করেছেন। তিনি জানান ওই গিটারিস্ট তাঁর গান নিয়ে তাঁকে এমন কিছু প্রশ্ন করেছিলেন যাতে করে গায়কের দৃষ্টিভঙ্গিই পাল্টে গিয়েছিল।
রহমান জানান তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। তখন তিনি বেশ কয়েকজন সুরকারের সঙ্গে কাজ করছিলেন। আর তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে করতে তিনি ধীরে ধীরে তাঁদের দ্বারা প্রভাবিত হতে শুরু করেছিলেন। সেই সময় তাঁর ব্যান্ডের একজন মদ্যপ গিটারিস্ট তাঁর গান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এই প্রসঙ্গে সঙ্গীত পরিচালক বলেন, 'সেই সময় আমি কয়েকজন সুরকারের সঙ্গে কাজ করছিলাম। পাশাপাশি একটা ব্যান্ডেও ছিলাম। ওই ব্যান্ডে একজন মাতাল গিটারিস্টও ছিলেন, তিনি আমার দিকে ফিরে বলেছিলেন, ‘তুমি কী বাজাচ্ছ? তুমি কী ছবির প্লে-ব্যাকের জন্য বাজাচ্ছ? ওই ভাবে বাদ্যযন্ত্র বাজানোর জন্য তিনি আমাকে অনেক কটু কথাও শুনিয়েছিলেন। এটা ১৯৮৫ বা ৮৬ সালের কথা।’
আরও পড়ুন: জন্মদিনে সলমনের সঙ্গে যা করলেন তাঁর দেহরক্ষী! ছবি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই নেটপাড়ায়
গায়ক আরও বলেন, ‘ওই মুহুর্তে আমার খুব খারাপ লেগেছিল। আমি বুঝতে পারিনি যে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছিলেন, তবে কয়েক সপ্তাহ ধরে ওঁর বলা ওই কথাগুলো আমাকে বার বার ভাবিয়েছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে তিনি যা বলেছিলেন তা একেবারেই সঠিক। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমি যে সুরকারদের জন্য কাজ করছি, আমি তাঁদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়ছি। এর পর আমি সচেতনভাবে এই সব কাজ থেকে দূরে সরে যেতে শুরু করি। এবং আমার নিজের কী স্টাইল কী হবে তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করি। এটা করতে আমার প্রায় সাত বছর সময় লেগেছিল। আমি সম্পূর্ণরূপে প্রভাবগুলি থেকে দূরে সরে গিয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: ‘একদম ভালো লাগছে না প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে কাজ করতে’! নায়িকাকে নিয়ে কেন এমন বললেন সোহম?
রহমানের মতে, যদিও গিটারিস্ট তাঁকে খারাপ কিছু বলেননি, কিন্তু তাঁর মন্তব্য সুরকারের মনে এতটাই ছাপ ফেলেছিল যে, তিনি নিজেকে সামলে নিয়েছিলেন। ওই গিটারিস্টের বলা কথা রহমানের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল।