ঝাঁ চকচকে বলিউডের অন্দরে কতই না দু:খ লুকিয়ে আছে।কজনই বা তার খোঁজ রাখে! একজন তারকা হয়ে ওঠার পেছনে কত পরিশ্রম আছে তা জানলে বোঝা যায়, গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে বসে কোটি টাকা কামানো সহজ কথা নয়। তেমনিই এক সুরের জাদুকর এ আর রহমান। যিনি এক অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে এসে আজ রাজ করছেন বলিউডে।
বর্তমানে তিনি এখন ‘হাইয়েস্ট পেইড মিউজিক ডিরেক্টর’। অর্থাত্ সঙ্গীত পরিচালকদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেন, কিন্তু এমন একটা সময় গেছে যখন তাঁর নিজের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনার জন্য অর্থ ছিল না।
আরও পড়ুন: (নির্বাচনী আবহে মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ রশ্মিকা, বললেন, '১০ বছরে ভারত কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে...')
ইমতিয়াজ আলীর সর্বশেষ চলচ্চিত্র অমর সিং চামকিলা-তে তাঁর কাজের জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছেন এমন সঙ্গীত গুরু রহমান। নেটফ্লিক্সের জন্য ইমতিয়াজ আলি, মোহিত চৌহান এবং ইরশাদ কামিলের সাথে কথোপকথনের সময়, রহমান তাঁর পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করতে করতে বলেন বিভিন্ন কথা। উঠে আসে তাঁর কলেজে না যাওয়া, ছোট থেকেই গান নিয়ে মশগুল থাকা কিংবা তাঁর নিজস্ব স্টুডিয়ো খোলা এমন অনেক বিষয় নিয়েই গল্প করেন তিনি।
আরও পড়ুন: (‘তা রা রাম পাম’-এর সেই ছোট রণবীর কে মনে আছে? এখন কেমন দেখতে হয়েছে তাকে? দেখে নিন)
অনেক ছোটো থেকেই গান নিয়ে ডুবে থাকতেন তিনি। রহমান জানান, ‘সেইসময় আমার অনেক প্রশ্ন ছিল। আমি কলেজে যাইনি তাই আমার মনে হয়েছিল আমি অনেককিছু মিস করছি। আমার বয়স যখন ১২, আমি তখন ৪০-৫০ বছরের লোকেদের সঙ্গে কাজ করছি। সেখান থেকে তৈরি হতো একঘেয়েমি। আর সেই একঘেয়েমি কাটাতেই আরও অনেক কিছু শুনতে, চারিদিকে কী হচ্ছে তা খুঁজতে পরিচালনা করে। সেই দিকটা আমার জন্য দর্শনীয় ছিল। সেখানে অনেক কিছু শিখেছি আমি’।এ আর রহমান সেই সময়ের কথাও মনে করেন যখন তিনি তার স্টুডিয়ো তৈরি করেন কিন্তু সরঞ্জাম কেনার জন্য তার কাছে কোন অর্থ ছিল না। আর সেই সময় তাঁর মা তাঁর প্রথম রেকর্ডার কেনার জন্য নিজের গয়না বিক্রি করে দেন।
‘যখন আমি আমার স্টুডিও তৈরি করি, তখন আমার কাছে একটি অ্যাম্প্লিফায়ার বা ইকুয়ালাইজার কেনার জন্য টাকা ছিল না। একটি তাক ,কার্পেট আর একটি এসি ছিল। কিছু কেনার টাকা না পেয়ে বসে থাকতাম।কোনও সরঞ্জাম ছাড়াই ভিতরে বসে থাকতাম। আমার মা তার গয়না বন্ধক রেখে আমার প্রথম রেকর্ডার কিনে এনেছিল।ভিতর থেকে শক্তি চলে আসে তখনই, আমি আমার ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছিলাম, সেই মুহূর্তে আমি বদলে গেলাম’।
মাত্র ৯ বছর বয়সে বাবা কে হারান তিনি। এরপরই সংসারের আর্থিক অনটন শুরু হয়। তাঁর ছোটবেলার বন্ধু শিবমণির সঙ্গে ‘রহমান ব্যান্ড রুটস’-এর জন্য সিন্থেসাইজার বাজাতেন।১৯৯২ সালে তামিল ছবি ‘রোজা’-র হাত ধরে তাঁর প্রথম ভারতীয় ছবিতে কাজ। এরপর ১৯৯৫ সালে রাম গোপাল ভর্মা পরিচালিত ‘রঙ্গলীলা’ তে সঙ্গীত পরিচালনা করে তিনি শুরু করেন তাঁর প্রথম বলিউড ডেবিউ।